বিশাল আকৃতির বাঘাইড়। আছে বোয়াল, চিতল, বিপন্ন মহাশোল, গজার, রই-কাতলা, মৃগেল, বাউশ আর ইলিশ। আছে দেশীয় প্রজাতির ছোট মাছের সমারোহ। হাওর-নদীর তরতাজা মাছে সয়লাব চারদিক। এ যেন মাছেরই রাজ্য। ধুম পড়ে মাছ কেনা-বেচার। এক লাখ-দেড় লাখে বিক্রি হয় বিশাল আকৃতির একেকটি মাছ। মুহূর্তেই চলে কোটি টাকার বেচা-কেনা। মাছ বিকি-কিনি’র গ্রামীণ ঐহিত্যের এ উৎসবের নাম ‘মাছের মেলা’। এ মেলাটি ক্রেতা-বিক্রেতা, আয়োজনকারী ও দর্শনার্থীদের আনন্দ উৎসবের অন্যতম খোরাক।
সাইফুল ইসলাম বেগ, বিশ্বনাথ (সিলেট)
-Sylhet-11_01.jpg?ssl=1)
সম্প্রতি ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে (গত ১০ জানুয়ারি) সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুুর উপজেলার মিরপুর বাজারে অনুষ্ঠিত হলো মাছের মেলা। এখানে বহু আগ থেকেই এই মেলার প্রচলন ছিল। এখনও স্থানীয়রা ধরে রেখেছেন এটি। সিলেটের কুশিয়ারা, সুরমা, হাকালুকি ও টাঙ্গুয়ার হাওরসহ বিভিন্ন হাওর-নদীর নানা জাতের ছোট-বড় মাছের পসরা নিয়ে বসেন, বিভিন্ন এলাকার শতাধিক মৎস্য ব্যবসায়ী। মেলায় ঢল নামে ক্রেতা-দর্শকের। উৎসবের আমেজে শুরু হয় মাছ কেনা-বেচা। ৪০-৫০ থেকে ৭০ হাজারে বোয়াল,চিতল বিক্রি হয় মূর্হতে। বিক্রির সাথে সাথেই হাঁক-চিৎকারে উল্লাস প্রকাশ করেন ক্রেতা-বিক্রেতা। এছাড়া কৌতূহল নিয়ে বিশাল বিশাল মাছ দেখা ও মুঠোফোনের ক্যামেরায় নানা দৃশ্য ধারণ করতে দেখা যায় অগন্তুকদের। দুপুর ২ টা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত টানা সময় চলে এ মেলা। সরেজমিন মাছের মেলা ঘুরে দেখা যায় এমন চিত্র।