শখের বশে নিজ এলাকায় মাছ চাষ করে এখন সফল্যের পথে হাঁটছেন তরুণ উদ্যোক্তা শাখাওয়াত। বর্তমানে তার ৬ টি পুকুর রয়েছে, যার পরিমাণ ৩০ বিঘা। চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর ইউনিয়নের লক্ষীপুর গ্রামের বাসিন্দা শাখাওয়াত হোসেন।
মাছ চাষ করে স্বাবলম্বী হওয়ার জন্য দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। তার সঙ্গে রয়েছে আরও দুই তরুণ। তিনজনই তারা মাস্টার্স পাস। চাকরি যখন সোনার হরিণ তখন ঘরে বসে না থেকে উদ্যোক্তা হয়ে আয় রোজগার করা তাদের লক্ষ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে।
শাখাওয়াত হোসেন জানান, ২০০৬ সালে এসএসসি পাস করে আমি মাছে চাষ শুরু করি। মাছ চাষ করাটা আমার নেশা। সে সময় আমি ৫ কাঠার একটি পুকুর লিজ নিয়ে মাছ চাষ শুরু করি। এ ছাড়া আমার একটি ফিস ফিডের দোকান রয়েছে। মাছ চাষের পাশাপাশি আমি লেখাপড়ায় জড়িত থাকি।
এক পর্যায়ে আমি মাস্টার্স পাস করি। মাস্টার্স পাশ করার পরে আমি এ ব্যবসায় বেশি মনোনিবেশ করি। এখন এটাকে আমি পেশা হিসেবে গ্রহণ করেছি। যে পুকুরগুলোতে আমি মাছ চাষ করি তাতে আনুমানিক ১৫ লাখ টাকার মাছ ছাড়া হয়েছে, এবং তাতে খরচ হয়েছে ৩০ লাখ টাকা।
উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে প্রায় ৫০ লাখ টাকা। ৬ প্রজাতির মাছ যেমন রুই, কাতলা, মৃগেল, সিলভারকাপ, পাবদা মাছ। সামনে আবার উন্নত প্রযুক্তিতে মাছ চাষ করার ইচ্ছা রয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে গোমস্তাপুর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ড. আবু বক্কর সিদ্দিক জানান, শাখাওয়াতের পুকুরে আমরা প্রায়ই যায়। ইতিমধ্যে তাকে সাধ্যমতো সাহায্য করা হয়েছে। এয়ারেটর মেশিনসহ করোনাকালীন প্রণোদনা দেয়া হয়েছে। এ উপজেলার কর্মরত সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী মাঠ পর্যায়ে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। গৃহীত পদক্ষেপের সুফল হিসেবে ভবিষ্যতে জেলায় মাছ উৎপাদনের পরিমাণ আরো বাড়বে।
সূত্র : agriview24.com
