ঢাকা জেলার অদূরে অবস্থিত ধামরাই উপজেলার বান্নল গ্রামের একজন সফল মৎস্য চাষি শাকিল।কয়েক বছর আগেও তার পরিচয় ছিলো ভিন্ন।তিনি ছিলেন একজন এনজিও কর্মী। পাশাপাশি নিজের চাষের জায়গা জমির দেখাশোনা করতেন তিনি।
শাকিল মাছ চাষের অনুপ্রেরণা পেয়েছিলেন তার কয়েকজন বন্ধুর নিকট হতে।সেখান থেকেই তার স্বপ্নের শুরু।প্রথমে তিনি ৮০ শতাংশ জমিতে একটি পুকুর খনন করেন।পুকুর নির্মাণের পর একজন উপজেলা মৎস্য অফিসারের সাহায্যে পুকুরের মাটি এবং পানি মাছ চাষের জন্যে উপযুক্ত কিনা তা যাচাই করেন তিনি।এভাবেই শুরু হয় তার স্বপ্নযাত্রা।প্রথম অবস্থায় তিনি প্রায় চার-পাঁচটি প্রজাতির মাছ চাষ করেন।সেগুলোর মধ্যে ছিলো রুই,কাতলা,মৃগেল,তেলাপিয়া,স্বরপুটি। প্রথম অবস্থায় তিনি যদিও কম দক্ষ ছিলেন কিন্তু তিনি বছর শেষে মোটামুটি লাভবান হলেন।এই অবস্থায় তিনি উপজেলায় কয়েকটি মৎস্য চাষ বিষয়ক প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করেন।ধীরে ধীরে তার দক্ষতা বৃদ্ধি পায়।
এমতবস্থায় তিনি ৬০ শতাংশ জমির উপর আরও একটি পুকুর খনন করেন।এই পুকুরে তিনি মলা,চিংড়ি, তেলাপিয়া মাছ চাষ করেন।বর্তমানে দুটি পুকুর থেকে তার বাৎসরিক আয় পাঁচ থেকে ছয় লাখ টাকা।তার পুকুরে পাঁচ জন কর্মচারি নিয়মিত কাজ করেন।মাছের খাবার হিসেবে তিনি বাড়তি খাবার খুব কম দেন।তার পুকুরে পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রাকৃতিক খাবার রয়েছে।
মাছ চাষে তিনি কখনও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন কিনা জিগেস করলে তিনি বলেন এমন কোনো পরিস্থিতির সম্মুখীন তিনি এখনও হননি।মাছের শীতকালীন বিভিন্ন রোগের ব্যাপারে তিনি সব সময় সাবধান থাকেন বলে জানান।এবং যে কোনো সমস্যা হলে তিনি উপজেলা মৎস্য অফিসারের শরণাপন্ন হন।প্রায় পাঁচ বছর যাবত তিনি মাছ চাষের সাথে যুক্ত।বর্তমানে তিনি একজন সফল মৎস্য চাষি।