হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার উদ্যোক্তা শফিউল বর খোকন গরুর খামার করে সফল হয়েছেন। পেশায় চাকুরিজীবি হলেও অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য খামার করে লাখ টাকা আয় করছেন তিনি। গরুর খামারে তাকে সফল হতে দেখে আশেপাশের অনেক তরুন যুবক খামারে আগ্রহী হচ্ছেন।
জানা যায়, শফিউল বর খোকন মাধবপুর উপজেলার ধর্মঘর ইউনিয়নের নিজনগর গ্রামের বাসিন্দা। বর্তমানে তিনি একজন খামারি হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন। তিনি ১৯৯৭ সালে গরু মোটাতাজা করণের ওপর যুব উন্নয়নে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। তারপর কয়েকটি গরু নিয়ে খামার শুরু করেন। নাভা এগ্রো ফার্ম নামে খামারের নাম করণ করেন। ধীরে ধীরে খামার বড় হতে থাকে। বর্তমানে তার খামারে ফ্রিজিয়ান, শাহিওয়াল, দেশি ক্রস ও ব্রাহামা জাতের ৬০ টি গরু রয়েছে। প্রতি বছর ঈদের সময় গরু বিক্রি করে ৮-১০ লাখ টাকা আয় করেন তিনি।
খামারের মালিক শফিউল বর খোকন বলেন, যুব উন্নয়নে প্রশিক্ষণ নেওয়ার পর খামার করায় আমার আগ্রহ বাড়ে। তারপর কয়েকটি গরু নিয়ে খামার শুরু করি। একটু একটু করে আমার খামার বড় হতে থাকে। বর্তমানে আমার খামারে ৬০ টি গরু রয়েছে। চাকুরি সূত্রে আমি ব্রাহ্মনবাড়িয়া থাকি। তারপর খামার দেখাশোনাও করি। আমার অনুপস্থিতিতে বন্ধু নাজমুল হাসান খামারের দেখাশোনা করেন।
তিনি আরো বলেন, প্রতি বছর কোরবানির ঈদে গরু বিক্রি করে ৮-১০ লক্ষ টাকা আয় করতে পারি। আমার খামারে ৪ জন শ্রমিক কাজ করেন। তারা গরুর যত্ন ও পরিচর্যা করে থাকেন। আমাদের এখানে সাধারণত ক্যামিকেল ছাড়া প্রাকৃতিক ঘাষ, বন, এইগুলো দিয়েই গরু গুলো লালন, পালন করা হয়। গরু গুলোকে মোটাতাজাকরণে কোন ইনজেকশন করা হয় না। এই খামারে ৬০ টি গরু আছে। সবগুলো ষাড় গরু। যার আনুমানিক বাজার মূল্য ৭০ থেকে ৭৫ লাখ টাকা হবে বলে আমরা আশা করি।
চৌমুহনী ইউনিয়ন কৃত্রিম প্রজনন কেন্দ্র, এআইটি, নাজমুল হাসান বলেন, নাভা এগ্রো বহুমুখি ফার্মের এই খামার টি আমি সব সময় দেখাশুনা করি। এই খামারের মালিক সরকারি চাকরি করেন। তাই তিনি সব সময় আসতে পারেন না। মাসে এক দুই বার আসেন। খামার টি তার শখের বসে করা। অনেক দিন থেকে গরু পালনে তার একটি আগ্রহ ছিল। গরুর তাৎক্ষনিক যে চিকিৎসা সার্বিক সহযোগীতা আমি করি।
মাধবপুর উপজেলা ভারপ্রাপ্ত প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মিলন মিয়া বলেন, নাভা এগ্রো বহুমুখি ফার্ম চালু হয়েছে। এই ফার্মের সত্ত্বাধিকারী শফিউল বর খোকন আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন তখনি আমরা তাকে গরু মোটাতাজাকরণ প্রকল্পের মাধ্যমেই শুরু করলে তিনি লাভবান হবেন। সেই লক্ষ্যেই তিনি এখানে ৬০ টির মত বিভিন্ন প্রজাতির গরু দিয়ে উনি উনার ফার্ম শুরু করেছেন। আমরা তাকে সব ধরনের সহযোগীতা করবো।