দেশে দেশি-বিদেশি ছাগল, ভেড়া পালনের পাশাপাশি বাড়ছে গাড়ল পালন। দেখতে ভেড়ার মতো হলেও গাড়ল ভেড়ার চেয়ে আকারে বড় ও মাংসের পরিমাণ বেশি। গাড়ল পালনে খরচ কম ও অল্প দিনেই গাড়লের বংশ বৃদ্ধি হয়। পাশাপাশি দিন দিন এর চাহিদা বৃদ্ধির কারণে দিনাজপুরের খামারিদের মাঝে গাড়ল পালনে আগ্রহ বাড়ছে। তেমনই গাড়ল পালনে বছরে ৮-১০ লাখ টাকা আয় করছেন খামারি রেজাউল ইসলাম।
জানা যায়, ২০১৮ সালের শেষের দিকে দিনাজপুর সদরের আউলিয়াপুর ইউনিয়নে উলিপুর গ্রামের মোঃ রেজাউল ইসলাম এক শিক্ষকের পরামর্শে মাত্র ৪৫টি গাড়লের বাচ্ছা দিয়ে খামার শুরু করেছিলেন। গাড়ল পালনে মাত্র দুই বছরের মাথায় লাভের মুখ দেখতে পান তিনি। এখন তার খামারে ২৩০টি গাড়ল রয়েছে। নিজের সচ্ছলতার পাশাপাশি আরো দুই জনের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করেছেন তিনি।
গাড়ল পালনকারী রেজাউল ইসলাম বলেন, আমি ২০১৮ সালে একজন শিক্ষকের পরামর্শে মাত্র ৫০ হাজার টাকা দিয়ে ৪৫টি বাচ্চা গাড়ল কিনে পালন শুরু করি। গাড়লের মাংস সুস্বাদু। পুষ্টি গুনেও ভাল। প্রতি কেজি মাংস ৭০০-৮০০ টাকা দরে বিক্রি হয়। তাই এর চাহিদা দিন দিন বাড়ছে।
তিনি আরো বলেন, বর্তমানে আমার খামারে ২৩০টি গাড়ল রয়েছে। গাড়ল পালন করে এখন বছরে প্রায় ৮-১০ লাখ টাকা আয় করতে পারি। এখন দুম্বা পালন করার পরিকল্পনা করছি।ৎ
: ছাগল মোটাতাজাকরণে করণীয়ঃ
রেজাউল ইসলাম আরো বলেন, গাড়ল গুলোকে বাড়ির পাশে চরন ভূমিতে ছেড়ে দিলেই হয়। বাড়তি কোনো খাবারের প্রয়োজন হয় না। গাড়ল বছরে দুইবার ২-৩ টি করে বাচ্চা দিয়ে থাকে। গাড়ল স্যাতস্যাতে পরিবেশে পছন্দ করে না।
আরেক গাড়ল খামারী নাজমুল ইসলাম বলেন, গাড়ল ভেড়া প্রজাতির গৃহপালিত প্রাণি। দিনাজপুর সদর উপজেলাতে ৭-৮ জন গাড়ল খামারি রয়েছে। যাদের খামারে প্রায় ১ হাজার গাড়ল রয়েছে। গাড়লে চর্বি কম থাকে এবং মাংস বেশি থাকে। এর রোগবালাইও কম। তাই শিক্ষিত যুবকরা গাড়ল পালনে উৎসাহি হচ্ছেন।
দিনাজপুর ভেটেরিনারী অফিসার ড. আশিকা আকবর তৃষা বলেন, দিনাজপুর জেলার অনেকগুলো গাড়লের খামার গড়ে উঠেছে। স্বল্প পুঁজিতে গাড়ল পালনে বেশি লাভবান হওয়া যায় বলে যুবকরা গাড়ল পালনে ঝুঁকছেন। আমরা খামারিদের সব ধরনের সহযোগিতা ও পরামর্শ দিচ্ছি।
সূত্র:আধুনিক কৃষি খামার