নিজস্ব সংবাদদাতা, নওগাঁ॥ ২০২০-২১ অর্থবছরে নওগাঁ জেলার ভরাট হয়ে যাওয়া পুকুর, দীঘি ও বিল পুনঃখননের উদ্যোগ গ্রহন করেছে জেলা মৎস্য অধিদফতর। এসব জলাশয় পুনঃখননের মাধ্যমে ভূ-উপরিভাগের পানির ধারন ক্ষমতা বৃদ্ধিসহ সারাবছর প্রযুক্তি নির্ভর মাছ চাষের সুযোগ সৃষ্টি হবে। ফলে মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে। সৃষ্টি হবে গ্রামীণ কর্মসংস্থান। জলাশয়ের ইজরিি মূল্য বৃদ্ধির ফলে সরকারের রাজস্ব আয়ও বাড়বে।
জেলা মৎস্য দফতর সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর নওগাঁ জেলায় অদ্যাবধি ৪৩টি স্কীমের আওতায় ৪ কোটি ১০ লাখ টাকার প্রকল্প অনুমোদন প্রদান করা হয়েছে। প্রথম কিস্তির অর্থ ছাড়করন হয়েছে এবং পুনঃখনন কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এতে প্রায় ৩০ হেক্টর জলাশয় মাছ চাষের মাছ চাষের উপযোগী করা সম্ভব হবে। এসকল জলাশয়ে প্রতিবছর প্রায় ২৫০ মেঃ টন অতিরিক্ত মাছ উৎপাদন করা সম্ভব হবে। যার বাজার মূল্য প্রায় ৩ কোটি ৫০ লাখ টাকা। এতে সুফলভোগীদের স্থায়ী কর্মসংস্থান সৃষ্টিসহ জনগনের পুষ্টি চাহিদা পুরনে যথার্থ ভূমিকা রাখবে।
চলমান পুনঃখনন কাজের সাইডগুলো সরেজমিনে পরিদর্শন করে দেখা যায়, কাজের মান সন্তোষজনক। সুফলভোগীরা জানায়, জলাশয়গুলো পুনঃখননে তাদের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন পুরন হতে চলেছে। মৎস্য অধিদফতর তাদের স্বপ্ন পুরনে পাশে দাঁড়িয়েছে।
বিগত ২০১৮-১৯ অর্থবছরেও নওগাঁ জেলায় জলাশয় পুনঃখননের ২৩টি স্কীমের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এসকল জলাশয়ের সুফলভোগীরা একদিকে যেমন সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের মাধ্যমে প্রশিক্ষন গ্রহন করে মাছের উৎপাদন কয়েক গুন বৃদ্ধি করেছে, অণ্যদিকে উন্নত প্রযুক্তিতে মৎস্য প্রদর্শণী খামার স্থাপন ও নতুন প্রযুক্তি গ্রহনে তাদের সহায়তা করেছে। এছাড়া পুকুর পাড়ে ফলজ গাছ ( মৎস্য দপ্তর থেকে সরবরাহকৃত) গাছ রোপনের মাধ্যমেও তারা লাভবান হচ্ছেন।
নওগাঁ জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ফিরোজ আম্মদ জনকন্ঠকে জানান, বর্তমান সরকারের নানা মুখি উন্নয়ন কর্মকান্ডের অংশ হিসেবে মৎস্য অধিদপ্তরও এমন উন্নয়নমূলক কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। বর্তমানে খননকৃত পুকুর পাড়ে চলছে বিভিন্ন ধরনের সব্জী চাষ। যা স্থানীয় জনগোষ্ঠীর পুষ্টি চাহিদা পুরন করছে। এই জলাশয় পুনঃখননে আরও একটি সুফল এলাকাবাসী পাচ্ছে, তা হলো জলাশয়ের পানি ধারন ক্ষমতা বৃদ্ধির ফলে সারা বছর গৃহস্থালীর কাজে তারা এসব জলাশয়ের পানি ব্যবহার করতে পারছে।