প্রতিবেদনকারী ,জাকিয়া সুলতানা( 1/11/22)
২০২০ সালের শুরুর দিকে যখন সারাদেশ থমকে গেলো করোনার থাবায় । শহিদুল ইসলাম শূভ তখন অনার্স ২য় বর্ষের ছাত্র ছিলেন । করোনা মহামারীতে যখন সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অনির্দিষ্ট কালের জন্য বন্ধ হয়ে গেলো। এমন পরিস্থিতিতে একদম বেকার হয়ে পড়লেন শুভ। বাড়ি বসে যেন তার সময় কাটে না। কিছু একটা করবেন সিদ্ধান্ত নিলেন। যেই ভাবা সেই কাজ, বাড়ির পাশের ছোট পুকুরটাকে মেরামত করলেন। হাঁসের খামার করবেন বলে মনস্থির করলেন তিনি। পরবর্তীতে হাঁসের খামারের পাশাপাশি গরুর খামারও স্থাপন করেছেন। বর্তমানে ১২ টি গরু এবং ৮০০ টি হাঁস রয়েছে এই তরুণ উদ্যোক্তার।
জানা যায়,প্রথমবার একদম নতুন খামারী হিসেবে খুবই ঝামেলায় পড়তে হয়েছে তার। উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস থেকে মোটামুটি ধারণা নিলেন তিনি। এছাড়াও বিভিন্ন খামারীদের থেকে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করে শুরু করলেন এক নতুন যাত্রা। প্রথমবার ৫০০ টি হাঁসের ছানা নিয়ে এলেন নারায়নগঞ্জ থেকে। খামারের উপযুক্ত এবং খোলামেলা পরিবেশে খুব দ্রæত বেড়ে উঠলো হাঁসগুলো। প্রথমে খুব বেশি লাভবান না হলেও আশা ছাড়েননি শুভ।
হাঁসের খামারের পাশাপাশি ৬ টি গরু নিয়ে শুরু করলেন গরুর খামার। পুরোউদ্দ্যেমে কাজ করলেন খামারে। ৫ জন কর্মচারীও নিয়োগ দেন তিনি। পরবর্তীতে আরও একটি নতুন কাজ হাতে নেন তিনি। শুরু করেন অনলাইনে হাঁস বিক্রি। এতে করে ভালো লাভ আসতে থাকে তার ব্যবসায়।এভাবেই করোনার ২ বছর কেটে যায় তার। পরবর্তী সময়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে গেলেও পড়ালেখার পাশাপাশি খামার পরিচালনার কাজও করতে থাকেন তিনি। এ কাজে তাকে সাহায্য করেন তার বাবা মা সহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা।
বর্তমানে তিনি খামারটি আরও বড় করেছেন। উদ্যোক্তা শুভ জানান বর্তমানে তার খামারে ১২ টি গরু এবং ৮০০ টি হাঁস রয়েছে। তিনি বলেন, হাঁসের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি হওয়ায় তা লালন পালন করা সহজ এবং কম ঝুঁকিপূর্ণ।হাঁসের খাবার হিসেবে তৈরি খাবারের থেকে প্রাকৃতিক খাবারে বেশি গুরুত্ব দেন তিনি। পুকুরে কিছু মাছ চাষও করেন তিনি হাঁসের খাবারের জন্য।
তিনি জানান করোনার সময়ে শুধু শুধু বসে না থেকে সময়টাকে কাজে লাগাতে চেয়েছিলেন তিনি এবং এতে করে তিনি সফলও হয়েছেন।তাকে দেখে তার কয়েকজন বন্ধুও উদ্বুদ্ধ হয়েছেন খামার করার জন্য।এভাবেই করোনা সাবলম্বী করে দিয়ে গেছেন কিছু কিছু মানুষকে।