ভোলার চরাঞ্চলের হাজার হাজার মহিষকে সুরক্ষা দিচ্ছে আধুনিক কিল্লা। টানা ৫ দিনের জোয়ারে উপকূলের বিস্তীর্ণ জনপদ প্লাবিত হলেও জলোচ্ছ্বাস রক্ষা পেয়েছে মহিষ। আধুনিক কিল্লা থাকায় স্বস্তি ফিরে এসেছে বাথানিদের মাঝে।
জানা যায়, নদীর মাঝে দুর্গম চরে পাকা ভবন, বজ্রনিরোধ দণ্ড, সুপেয় পানির ব্যবস্থা ও সৌর বিদ্যুৎতায়ন সুবিধাসহ আধুনিক এ কিল্লা থাকায় প্রাকৃতিক যেকোন দুর্যোগে এখন রক্ষা পাচ্ছে মহিষ। এখানে মহিষের চিকিৎসার সংস্থান, পরিচ্ছন্ন পরিবেশে দুধ দোহানোর ব্যবস্থা বাথানিদের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা। এতে একদিকে যেমন মহিষ পালনে বাথানিদের আগ্রহ বেড়েছে অন্যদিকে বিপুল পরিমাণ সম্ভাবনাও দেখা দিয়েছে। যে কারণে খুশি বাথানিরা। আর ভোলায় আধুনিক কিল্লা তৈরি করেছে, মহিষের পরিবেশগত ও টেকসই উন্নয়ন এবং মহিষের মৃত্যু ও ক্ষতি এড়াতে পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) সাসটেইনেবল এন্টারপ্রাইজ প্রজেক্ট বাংলাদেশ।
চন্দ্র প্রসাদ গ্রামের বাথানি রেজিউল হাওলাদার বলেন, আমার ৪০টি মহিষ রয়েছে, আগের সেসব মহিষ মাটির বিল্লায় রাখতাম। সেই কিল্লাও পানিতে ডুবে যেত, ভেসে যেত মহিষ। এতে প্রতি বছরই আমাদর লোকসান গুনতে হত। আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হতাম। কিন্তু এখন আধুনিক কিল্লা নির্মাণ করায় আমাদের মহিষ অনেক নিরাপদ এবং সুরক্ষিত।
বাথানি বশার মাঝি বলেন, আমার ৩৫টি মহিষ থাকলেও ঝড়-জলোচ্ছ্বাসের সময় সেগুলো কোথায় রাখবো তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় থাকতাম, এখন আমরা চিন্তামুক্ত। আমাদের চরে আধুনিক কিল্লা হয়েছে।
জিজেইউস এর সহকারী পরিচালক ডা. তরুন কুমার পাল বলেন, বাংলাদেশে এই প্রথম আধুনিক কিল্লা নির্মাণ হয়েছে। এটি উপকূলের সব স্থানে নির্মিত হলে বাথানিরা উপকৃত হবে। মহিষ পালন আরও সম্প্রসারণ হবে, সম্ভাবনা তৈরি হবে এবং অর্থনৈতিক উন্নয়ন হবে।
জেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ইন্দ্রজিৎ কুমার মণ্ডল বলেন, গ্রামীণ জন উন্নয়ন সংস্থা ভোলার ৩ টি চরে যে আধুনিক কিল্লা নির্মাণ করেছে, তা মহিষ পালনের সম্ভাবনা জাগিয়ে তুলেছে। এসব কিল্লা অনেকটাই নিরাপদ ও ঝুঁকিমুক্ত। যে কারণে দুর্যোগের সময় মহিষ ভেসে যাওয়া, রোগে আক্রান্ত বা মহিষের মৃত্যু কমে যাবে।
সূত্রঃ বাংলানিউজ