কুমিল্লা, ১২.০৫.২০২৪ খ্রি.
রমিজ হোসেন কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ উপজেলার দিশাবন্দ মহল্লায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি পঞ্চম শ্রেনী পর্যন্ত পড়াশোনা করেন। প্রবাস জীবন ২৪ বছর কাটিয়ে দেশে ফিরে সর্বপ্রথম ২০২২ সালে একটি ছাগল দিয়ে স্বল্প পুজি নিয়ে নিজ উদ্যোগে ছাগলের খামার শুরু করেন।
পরর্তীতে ১০ শতাংশ জায়গায় ব্ল্যাক বেঙ্গল ,যমুনাপাড়ি, হরিয়ানা জাতের ছাগল পালন করেন এবং বর্তমানে তার খামারে বড় ছাগল ১২টি, বাচ্চা ছাগল ১১টি সহ সর্বমোট ২৩ টি ছাগল রয়েছে।
প্রতিদিন ছাগলগুলোকে সকাল ও বিকাল খাবার প্রদান করেন। ছাগলের খাদ্য তালিকায় রয়েছে গমের ভূষি, ছোলা, রাব, লবন ও কাঁচা ঘাস। । ছাগলের প্রতিদিন খাদ্য প্রদান ও দেখাশোনা করার জন্য দুই জন লোক নিয়োজিত আছেন।
ছাগল ক্রয় ও বিক্রয় সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন কুমিল্লার চন্ডিমুড়া থেকে ছাগল ক্রয় করেন। গত তিন বছরের মধ্যে তিনি প্রায় সত্তর হাজার টাকার ছাগল বিক্রি করেন কুমিল্লা স্থানীয় বাজারে।
রমিজ বলেন তার খামার আরও বৃহৎ পরিসরে করার চিন্তা থাকলেও আর্থিক সংকটের কারনে তা করতে পারেন নি কিন্তু ভবিষ্যতে বড় পরিসর খামার গড়ার পরিকল্পনা আছে।
প্রশিক্ষনের বিষয় জানেতে চাইলে তিনি বলেন জেলা ও উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস থেকে তিনি কোনো প্রশিক্ষনে অংশগ্রহন করেন নি। পরিশেষে রমিজ হোসেন কে নিকটস্থ উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের সাথে যোগাযোগ করে ছাগল পালন বিষয়ে প্রশিক্ষণ নিতে পরামর্শ দেয়া হয়।
রমিজ বলেন তার বাড়তি কোন আয়ের উৎস্য না থাকায় ছাগলের খামারের আয়ের অংশ থেকে তার সন্তানদের লেখাপড়ার পাশাপাশি সংসারের ব্যয় মিটিয়ে থাকেন।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে তিনি বলেন ছাগলের খামারের পাশাপাশি গরুর খামার গড়ে তোলবেন। পরিশেষে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ তথ্য দপ্তর, আঞ্চলিক অফিস, কুমিল্লার পক্ষ থেকে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ তথ্য দপ্তর, প্রধান কার্যালয় কর্তৃক প্রকাশিত ছাগল পালন, গাভী পালন,কবুতর পালন, উন্নত জাতের ঘাস চাষ বিষয়ক মুদ্রণ সমগ্রী বিনামূল্যে প্রদান করা হয়।
প্রতিবেদনকারীঃ
মো.আল আমিন
কৃষি তথ্য কেন্দ্র সংগঠক
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ তথ্য দপ্তর
আঞ্চলিক অফিস, কুমিল্লা।