কেঁচো সার উৎপাদনে ব্যাপক সফলতার পাশাপাশি স্বাবলম্বী হয়েছেন পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জের সফল কৃষক রাসেল। বর্তমানে তিনি ভার্মি কম্পোস্ট সার উৎপাদন করে মাসিক আয় ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা আয় করছেন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার দেবীডুবা ইউনিয়নের সোনাপোতা এলাকার বাসিন্দা সাবেক ইউপি সদস্য আবু তাহেরের ছেলে রাসেল প্রধান ভার্মি কম্পোস্ট উৎপাদনের জন্য বাড়ির বাহিরে আঙ্গিনায় দোচালা পলিথিনের ঘর নির্মাণ করেছেন।
ঘরের শেডের নিচে সিমেন্টের তৈরি ৩৭টি রিং রাখা হয়েছে। সেই রিংগুলোতে গোবরের মিশ্রণ রাখা হয়েছে। তাতে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে কেঁচো। তারপর চটের বস্তা দিয়ে রিংগুলো ঢেকে রাখা হয়।
উদ্যোক্তা রাসেল আমার সংবাদকে বলেন, প্রথমে রিং ও ঘর নির্মাণসহ মোট খরচ হয় প্রায় ৯ হাজার টাকা। পরে চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় আরও ৫০ হাজার টাকা খরচ করে রিং তৈরি করেছি। এক মাসে উৎপাদন হয় ৩ টন ভার্মি কম্পোস্ট কেঁচো সার। প্রতিকেজি সার ১২ টাকা দরে বিক্রি করা হয়। পাশাপাশি প্রতি কেজি কেঁচো এক হাজার ২০০ টাকা দরে বিক্রি করেন তিনি। উদ্যোক্তা রাসেল ভার্মি কম্পোস্ট (কেঁচো সার) উৎপাদন করে নিজের জমিতে সেই সার ব্যবহার করে বাড়তি কেঁচো এবং সার বিক্রি করে মাসে আয় ৩০-৩৫ হাজার টাকা।
জানা যায়, উপজেলা কৃষি অফিস থেকে প্রণোদনা হিসেবে পাওয়া ছয়টি রিং এবং বাকি রিংগুলো নিজ খরচে তৈরি করে ৩ হাজার কেঁচো দিয়ে কম্পোস্ট সার তৈরি শুরু করেন। এদিকে রাসেলের উৎপাদিত কেঁচো সার স্থানীয় কৃষকদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
দেবীডুবা ইউনিয়নের সোনাপোতা এলাকার কৃষক মো. মাহাবুব আলম জানান, রাসেল প্রধানের কেঁচো সার ফসলে ব্যবহার করে ভালো ফলন পেয়েছি। পাশাপাশি তার সমন্বিত কৃষি খামার আমাকে উদ্বুদ্ধ করেছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ নাঈম মোর্শেদ বলেন, ভার্মি কম্পোস্ট সার ফসল উৎপাদনে খুবই উপযোগী। এছাড়া বাণিজ্যিকভাবে এ সার উৎপাদন করে অনেকে স্বাবলম্বী হয়েছেন। আমরা কৃষক পর্যায়ে ভার্মি কম্পোস্ট সার ব্যবহার বাড়াতে কাজ করছি।
সূত্র: আধুনিক কৃষি খামার।