কুলিল্লা জেলার লালমাই উপজেলার আটিটি গ্রামের বাসিন্দা বিল্লাল হোসেন। ২০০৬ সালে এইচ.এস.সি পাস করেন। ২০০৭ সালে জীবিকার তাগিদে দুবাই যান বিল্লাল হোসেন এবং দুবাই থেকে ২০১৭ সালে সৌদি আরবে যায়। তিনি প্রবাসে থাকাকালীন অবস্থায় ২০১৮ সালে ১৮ টা গরু দিয়ে খামার শুরু করেন। তার খামার পরিচালনার জন্য এক জন শ্রমিক নিয়োজিত করেন। তিনি প্রতি বছর ১০-১৫ টা গরু ক্রয় করে তার খামারে গরুর সংখ্যা বাড়াতে থাকেন। বর্তমানে তার খামারে গরুর সংখ্যা ১০০ শ টি
বিল্লাল হোসেন বলেন, ২০২৪ সালে ঈদুল ফিতরে ২০ টি গরু বিক্রি করেন এবং আসন্ন ঈদুল আযহায় ২০ টি গরু বিক্রয় করবেন বলে আশা ব্যক্ত করেন। বিগত বছর গুলোতে ১০- ১৫ টি করে গরু বিক্রয় করেছেন বলে আমাদের জানান।
তিনি আরোও বলেন, তার খামার পরিচালনার সুবিধার্থে রয়েছে ৪ টি আধুনিক শেড এবং প্রতি শেডে ২৫ টি করে গরু রাখেন। দুগ্ধবতী গাভী, গর্ভবতী গাভী, ছোট বাছুর, বকনা বাছুর, ষাঁড় গুলোকে আলাদা আলাদা করে রাখেন যাতে খামার পরিচর্যা করতে কোনো সমস্যা না হয়। এখন তার খামারে ফ্রিজিয়ান জাতের গাভী, ও শাহীওয়াল জাতের ষাঁড় রয়েছে।
বিল্লাল হোসেন আরোও বলেন, তার খামারে বর্তমানে ১৯ টি গরু দুধ দেয়। উৎপাদিত দুধ তিনি বেপারির কাছে বিক্রি করেন। তিনি খামারে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য করেছেন জেনারেটরের ব্যবস্থা। খামারের বর্জ্য অপসারন ব্যবস্থপনার জন্য করেছেন পাইপ লাইন সিষ্টেম।
গবাদি পশুর খাদ্য ব্যবস্থাপনার সম্পর্কে জানতে চাইলে বিল্লাল হোসেন বলেন, খড়, সবুজ ঘাস, সয়াবিন, খৈল, ভুট্রা উত্যাদি খাদ্য হিসাবে প্রদান করেন। তাছাড়া সবুজ ঘাসের জন্য তিনি ২৪ শতক জমিতে নিজেই ঘাসের চাষ শুরু করেন। তাহার এই খামার টি পরিচালনার জন্য ০৫ জন লোক কর্মসংস্থানের সুযোগ হয়েছে।
বিল্লাল হোসেন খামারের ব্যাপক সফলতার পাশাপাশি হতে পেরেছেন একজন সফল খামারি। তার এই সাফল্য দেখে তার গ্রামে গড়ে উঠছে ছোট বড় গরুর খামার। খামারের আয় থেকে তিনি তাহার পরিবারের সকল চাহিদা পূরণ করেন। তিনি বর্তমানে আর্থিক ভাবে স্বাবলম্বী।
খামার পরিচালনার ক্ষেত্রে নানাবিধ সমস্যা দেখা দিলে বিল্লাল হোসেন উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসে যোগাযোগ করেন এবং উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস থেকে সহযোগিতা পেয়ে থাকেন।
পরিশেষে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ তথ্য দপ্তর, আঞ্চলিক অফিস, কুমিল্লার পক্ষ থেকে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ তথ্য দপ্তর, প্রধান কার্যালয় কর্তৃক প্রকাশিত গাভী পালন, সবুজ ঘাস সংরক্ষণ প্রযুক্তি সম্প্রসারণ, উন্নত জাতের ঘাস চাষ, হাইব্রীড ভুট্রা চাষাবাদ পদ্ধতি বিষয়ক লিফলেট বিনামূলে প্রদান করা হয় এবং পরামর্শ প্রদান করা হয়।
প্রতিবেদনকারী:
সুরাইয়া আক্তার
কৃষি তথ্য কেন্দ্র সংগঠক
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ তথ্য দপ্তর
আঞ্চলিক অফিস
কুমিল্লা।