আসন্ন কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে শুরু হয়েছে পশু কেনাবেচা। দেশে চাহিদার চেয়ে কোররবানির পশুর অতিরিক্ত জোগান রয়েছে ২২ লাখেরও বেশি। তবু দাম কিছুটা বাড়বে বলে জানিয়েছেন খামারিরা। এক্ষেত্রে গো-খাদ্যের ২০-৩০ শতাংশ পর্যন্ত মূল্যবৃদ্ধি এবং সার্বিক লালন-পালন ব্যয় বেড়ে যাওয়াকে কারণ হিসেবে সামনে আনছেন তারা। আবার সাম্প্রতিক তীব্র তাপপ্রবাহে পশুর জন্য বাড়তি যত্ন নিতে গিয়েও ব্যয় বাড়ছে তাদের। তাই এবার পশুর দাম ২০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়তে পারে।
হতে পারে। অনেক পশু অবিক্রীত অবস্থায় থাকতে পারে। ফলে সমস্যায় পড়তে পারেন খামারিরা। আর পশুখাদ্য ও ওষুধের দাম বাড়ায় এবার পশুর মূল্য ২০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে যেতে পারে।’
তবে বাড়তি উৎপাদন ব্যয় এরই মধ্যে সমন্বয় হয়ে যাওয়ায় দাম আর বাড়বে না বলে মনে করছেন শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অর্থনীতি বিভাগের চেয়ারম্যান ড. রিপন কুমার মণ্ডল। বণিক বার্তাকে তিনি বলেন, ‘গরুর মাংস এরই মধ্যে ৭০০ টাকার বেশি হয়ে গেছে। ৬০০ টাকা কেজি হলেই দাম উঠে লাভ থাকে। তাই নতুন করে আর দাম বাড়ার আশঙ্কা নেই। কারণ দামটা চাহিদা ও জোগানের ওপর নির্ভর করে।’
গতবারের তুলনায় এবার অগ্রিম বুকিং কম হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. ইমরান হোসেন। বণিক বার্তাকে তিনি বলেন, ‘চাহিদার চেয়ে অনেক বেশি পশু থাকায় এবার দাম বেশি না। আমরা গতবার কেজিতে ৫২৫ টাকা করে বিক্রি করলেও এবার কেজিপ্রতি ৫০০ টাকা করে বিক্রি করছি। কারণ যেসব গরু বড় করেছি তা ঈদের সময়ই বিক্রি করতে হবে। লস হলেও বিক্রি করতে হবে। তবে গরমের কারণে ঢাকার বাইরে থেকে গরু কম এলে দাম বাড়তে পারে। কারণ গরমে গরু ট্রাকে হিট স্ট্রেসে পড়তে পারে। আবার বিক্রি না হলে গরু ফেরত নিয়ে গেলে অনেক টাকা ব্যয় হয়ে যায়। তাই অনেকে এবার ঢাকায় গরু নাও আনতে পারেন।’
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান গত বৃহস্পতিবার এ প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের বলেন, ‘চোরাই পথে যেন পশু না আসে, সে ব্যাপারে আমরা সতর্ক ও সজাগ থাকব।’ পশুর দাম নিয়ে তিনি বলেন, ‘চাহিদা ও সরবরাহে পার্থক্য থাকলে দামটা সামনে আসে। এবার যেহেতু যাচাই-বাছাই করে পশু উৎপাদনের পরিসংখ্যান তৈরি করা হয়েছে, তাই চাহিদা জোগানে বেশি পার্থক্য থাকবে না। সেজন্য মনে হয় দাম ঠিকই থাকবে।’
সূত্রঃ বণিক বার্তা