০২/০৪/২০২৪ খ্রি.
ঢাকা জেলার ,নবাবগঞ্জ উপজেলার , চুড়াইন ইউনিয়নের বুলবুল ইসলাম পেশায় একজন কৃষক। কৃষি কাজের পাশাপাশি শুরু করেন গবাদি পশুর খামার। ২০২৩ সালের এপ্রিল মাসে ৩ টি বকনা ও ২টি ষাঁড় গরু দিয়ে খামার শুরু করেন। বর্তমানে তার খামারে ১০ টি গরু আছে। বুলবুল বলেন, কুরবানির সময় তার খামার থেকে ২ টি ষাঁড় গরু বিক্রি করেন যা থেকে তার ৯০ হাজার টাকা লাভ হয়। এসব তথ্য জানেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ তথ্য দপ্তর ,আঞ্চলিক অফিস ,ঢাকা- এর ২ জন কর্মচারী বুলবুল ইসলাম এর খামার পরিদর্শন করে । পরিদর্শন কালে খামারিকে পরামর্শ প্রদান করেন মো. খাদেমুল ইসলাম , কৃষি তথ্য কেন্দ্র সংগঠক , এবং খামারির ছবি ও ভিডিও ধারণ করেন মো. সামিউল ইসলাম ,অডিও ভিজ্যুয়াল ইউনিট অপারেটর ।
খাবার ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে তিনি বলেন, উন্নত মানের ঘাস চাষ করেন এবং ভূট্টা ঘাষ চাষ করে সাইলেজ তৈরি করেন। ঘাস খাওয়ার পাশাপাশি তিনি দানাদার খাদ্য হিসাবে গমের ভুসি , ফিড ,ভূট্টার গুড়া ,খৈল খাওয়ানো হয়।
খামার বাসস্থান সম্পর্কে তিনি আরো বলেন, প্রতিদিন খামার পরিষ্কার করা হয় এবং ৭ দিন পর পর পরিষ্কার পানি ও জীবানুনাশক দিয়ে ভালো ভাবে পরিষ্কার করা হয়। বর্তমানে বুলবুল সহ আরো ১ জন কর্মচারী নিয়মিত গবাদি পশুকে খাবার দেওয়া ,পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতাসহ সকল কাজ করে থাকেন। খামারের বাৎসরিক ব্যয় সম্পর্কে জানতে চাইলে বুলবুল বলেন ১ জন কর্মচারীর বেতন ১২,০০০ টাকা প্রতিমাসে প্রদান করতে হয়। খাবার , মেডিসিন ,বাবদ ব্যয় হয় ৯,৫০০, টাকা তিনি বলেন খামার থেকে তার বাৎসরিক ব্যয় হয় ২,৫৮,০০০ টাকা এবং বাৎসরিক আয় হয় ১,৩০,০০০ টাকা।
প্রাণিসম্পদ বিষয়ক কোন প্রশিক্ষণ করেছেন কিনা সে বিষয়ে জানতে চাইলে বুলবুল বলেন যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর থেকে ৩ মাসের প্রশিক্ষণ করেছেন। তিনি আরো জানান গবাদিপশুর রোগ দেখা দিলে উপজেলা প্রাণিস্পদ অফিসে যোগাযোগ করেন এবং প্রাণিস্পদ অফিস বিভিন্ন সহযোগিতা করেন।
মৎস্য ও প্রাণিসম্প তথ্য দপ্তর , আঞ্চলিক অফিস ,ঢাকা থেকে বুলবুল ইসলামকে গরু পালনের সুষ্ঠ পরামর্শ সহ গাভী পালন ,সবুজ ঘাস সংরক্ষন প্রযুক্তি সম্প্রসারণ ,গবাদি পশুর সুষম খাদ্য তৈরীর উপকরণ ও খাওয়ানোর নিয়মাবলী ,উন্নত জাতের ঘাস চাষ বিষয়ক লিফলেট ও ফোল্ডার প্রদান করা হয়।
প্রতিবেদনকারী
(মো. খাদেমুল ইসলাম )
কৃষি তথ্য কেন্দ্র সংগঠক
মৎস্য ও প্রাণিসম্প তথ্য দপ্তর ,
আঞ্চলিক অফিস ,ঢাকা ।