২৯.০৫.২০২৪ খ্রি.।
জনাব মো. রাব্বি, উনায়শার গ্রামের সদর দক্ষিণ, কুমিল্লার বাসিন্দা। পরিবারের অসচ্ছলতার কারণে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেন। নানান পেশায় কাজ করে পেরে উঠতে পারছিলেন না তখন বন্ধু মোহাম্মদ আক্তার হোসেন তার পরামর্শে ২০১৬ সালে কিস্তিতে কিছু টাকা ও বাড়ি থেকে কিছু টাকা ব্যবস্থা করে প্রথমে মৎস্য চাষ পর্যায়ক্রমে গবাদি পশু পালনে অল্প পরিসরে শুরু করেন। বর্তমানে তাদের খামারে ১৭ টি দেশি জাতের গবাদি পশু আছে। তিনি বলেন,এসব গবাদিপশু আমাদের স্থানীয় পশুর হাট থেকে ক্রয় করি এবং প্রতিবছর কোরবানি ঈদে বিক্রি করি। গবাদি পশু লালন-পালনে বিভিন্ন রোগ দেখা দেয় গবাদি পশুর রোগের মধ্যে সাধারণত বেশি দেখা যায় শ্বাসকষ্ট, পেট ফুলে যাওয়া, ক্ষুরা রোগ, চোখ ঘোলা হয়ে যাওয়া। এসব রোগ দেখা দিলে জেলা প্রাণিসম্পদ অফিসে যোগাযেগ করি। ভবিষ্যতে গবাদিপশু খামারকে আরও বড় পরিসরে করার ইচ্ছে আছে বলে জানান তিনি। তাছাড়া গবাদিপশুর পালনের পাশাপাশি মৎস্য চাষ করে থাকি। মৎস্য চাষ করার জন্য আমাদের ০৭ টি পুকুরে আছে যার মোট আয়তন ৭০০ শতাংশ এসব পুকুরে একক ও মিশ্র মাছ চাষ করি। বাজারে ব্যাপক চাহিদা এবং বাজার মূল্য ভালো থাকায় পাঙ্গাস, তেলাপিয়া, গুলশা, রুই ও কাতলা মাছের চাষ করি। প্রতিদিন ০২ বেলা মোট ৩০০ কেজি মেগা ফিড (ভাসমান) দিয়ে থাকি। মাছ চাষে নানান সময় রোগ দেখা যায় সাধারণত মাছের “ঘা” মাছ ভেসে ওঠা এসব ছোটখাটো সমস্যা দেখা দিলে চুন, লবণ, পটাশ দিয়ে প্রতিরোধের ব্যবস্থা নেওয়া হয়। প্রতি আট মাস অন্তর স্থানীয় বাজারে মাছ বিক্রি করি। গবাদিপশু পালন ও মৎস্য চাষে সার্বিক দেখাশোনার জন্য মোট চারজন শ্রমিক কাজ করে। এর মধ্য থেকে ০২ জন দিনে এবং ০২ জন রাতে। আমাদের বছরে গবাদি পশু পালন ও মৎস্য চাষ করতে মোট খরচ হয় ১৩ থেকে ১৪ লাখ টাকা আর বছর শেষে বিক্রি করি ১৬-১৭ লাখ টাকা। বছর শেষে লাভ থাকে তিন থেকে চার লাখ টাকা। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ তথ্য দপ্তর, আঞ্চলিক অফিস, কুমিল্লা খামারটি পরিদর্শনকালে লক্ষ্য করা যায় নিকটতম প্রাণিসম্পদ অফিস সাথে যোগাযোগ আছে কিন্তু মাছ চাষে সমস্যা সমাধানে নিকটতম মৎস্য অফিসে যোগাযোগ নেই তাই মৎস্য চাষ ভালোভাবে পরিচালনার জন্য নিকটতম মৎস্য অফিস থেকে প্রশিক্ষণ ও যোগাযোগ রাখতে বলা হয়। সেই সাথে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ তথ্য দপ্তর কর্তৃক প্রকাশিত মুদ্রণ সামগ্রীর মধ্যে “গবাদি পশুর ক্ষুরা রোগ, রুই জাতীয় মিশ্র মাছ চাষ, পাঙ্গাস মাছ চাষ, পাবদা মাছ চাষ বিষয়ক মুদ্রণ সামগ্রী বিনামূল্য প্রদান করা হয়। এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ তথ্য দপ্তরের মোবাইল অ্যাপস মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ তথ্য ভান্ডার সম্পর্কে অবহিত করা হয়।
প্রতিবেদনকারী:
খালেক হাসান
কৃষি তথ্য কেন্দ্র সংগঠক
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ তথ্য দপ্তর
আঞ্চলিক অফিস, কুমিল্লা।