২৫/০৪//২০২৪ খ্রি.
ঢাকা জেলার ,ডেমরা থানায় মৎস্য চাষে সফলতার মুখ দেখছেন ইমন মিয়া। ২০১৭ সালে নিজের ৪টি পুকুরে মাছ চাষ শুরু করেন তিনি।
লাভ হওয়ায় আরো ১টি পুকুর লিজ নিয়ে ৫টি মৎস্য খামারে ৩ লাখ ৮ হাজার টাকার রেনু চাষ করেছেন। ২০১০ সালে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাষ্টার্স শেষ করে দীর্ঘদিন চাকুরীর জন্য হন্য হয়ে ঘুরছিলেন।
চাকুরী না পেয়ে অভিশপ্ত বেকার জীবন থেকে মুক্ত হতে নিজ অর্থ, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর ও ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে তিনি মৎস্য চাষে ঝুঁকে পড়েন। এখন তার মৎস্য খামারে ২০ জন বেকার যুবকের চাকুরি করছেন। মৎস্য চাষের পাশাপাশি পরিবেশ বান্ধব সবজি চাষ, ফলজ বাগান ও বনজ বাগান করে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। ঘুচিয়েছেন তাদের বেকারত্বও সফলতা মুখ দেখছেন নিজেই।
বর্তমানে তার মৎস্য খামারে রুই, কাতলা, পুঁটি, সিলভার কার্প, গ্রাস কার্প, গলদা চিংড়িসহ অন্যান্য প্রজাতির মাছের রেনু বিভিন্ন হ্যাচারি থেকে সংগ্রহ করে ঘেরে চাষ করছেন। তিন মাস পরিচর্যা করে এক থেকে দুই ইঞ্চি পোনা ২শ টাকা এবং চার ইঞ্চি থেকে ছয় ইঞ্চি পোনা ৫শ টাকায় বিক্রি করেন। তার এই সফলতা দেখে আশপাশের গ্রামের বেকার যুবকরা মৎস্য চাষের দিকে আগ্রহী হয়ে পড়েছে। শুধু মৎস্য চাষে নয় সফল উদ্যোক্তা হিসেবে তিনি এলাকার ব্যাপক সুখ্যাতি অর্জন করেছেন।
তার হ্যাচারী থেকে পোনা সংগ্রহ করে অর্ধশত বেকার যুবক মৎস্য চাষ করে জীবিকা অর্জন করছেন। বর্তমানে তিনি ২৫ টি মৎস্য প্রকল্পে মাছ চাষ করছেন। তার মৎস্য চাষে সফলতা দেখে সরকার তাকে বিভিন্ন সময়ে একাধিক জাতীয় পুরস্কারে ভূষিত করেন।
মৎস্য খামারি ইমন বলেন, ‘পোনা বিক্রি করে অধিক লাভবান হয়েছি। মাছ চাষ করে সংসার চালিয়ে বেশ ভালোই চলছে। বেকার যুবকদের চাকুরির পিছনে না ঘুরে মৎস্য চাষে প্রশিক্ষন নিয়ে মাছ চাষ করে ভাগ্যের চাকা বদলে দেয়া সম্ভব হবে। পুকুর না থাকলেও লিজ নিয়ে দীর্ঘস্থায়ী মাছ ,মুরগী ও সবজি চাষ করে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হওয়া অতীব সহজ। ভবিষ্যতে ডেমড়ায় ব্যাপক আকারে মৎস্য হ্যাচারী প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা রয়েছে বলে তিনি জানান।
মৎস্য বিষয়ক কোন প্রশিক্ষন করেছেন কিনা সে বিষয়ে জানতে চাইলে ইমন মিয়া জানান যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর থেকে ৩ মাসের প্রশিক্ষন করেছেন। তিনি আরো জানান মাছের রোগ দেখা দিলে উপজেলা মৎস্য অফিসে যোগাযোগ করেন এবং মৎস্য অফিস বিভিন্ন সহযোগিতা করেন।
পরিশেষে ,মৎস্য ও প্রাণিসম্প তথ্য দপ্তর , আঞ্চলিক অফিস ,ঢাকা থেকে ইমন মিয়াকে ,মৎস্য বিষয়ক বিভিন্ন ধরনের ফোল্ডার প্রদান করা হয় এবং মৎস্য ও প্রাণিী তথ্য ভান্ডার এ্যাপস ডাউনলোড করে দেওয়া হয়।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ তথ্য দপ্তর,আঞ্চলিক অফিস,ঢাকা থেকে ২ জন কর্মচারী মো. খাদেমুল ইসলাম,কৃষি তথ্য কেন্দ্র সংগঠক রিপোর্ট তৈরি করেন এবং খামারির ছবি ও ভিডিও ধারণ করেন মো.সামিউল ইসলাম ,অডিও ভিজ্যুয়াল ইউনিট অপাটের ।