আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে রাজধানীর হাটগুলোতে নিরাপত্তার পাশাপাশি সাইবার প্রতারণা রোধে অনলাইন গরুর হাটগুলোতেও বিশেষ নিরাপত্তার ব্যবস্থা রেখেছে ডিএমপির সাইবার টিম।
তিনি বলেন, ঢাকার ভেতরে পশুর হাটে যারা (স্বেচ্ছাসেবীসহ হাট ইজারাদার, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী) কাজ করবেন তাদের সমন্বয় থাকবে। পশুর হাটে অজ্ঞান পার্টি ও মলম পার্টির ব্যাপারে ডিবির টিম সজাগ থাকবে। হাট ও হাটের আশপাশে এমন অজ্ঞান পার্টি ও মলম পার্টির ব্যক্তি দেখলেই সঙ্গে সঙ্গে আইনের আওতায় আনা হবে। পাশাপাশি জাল টাকার বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। তারা তাদের জাল টাকা শনাক্তকরণ মেশিন পশুর হাটগুলোতে রাখবেন বলে জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, যদি কেউ এক হাটের কোরবানির পশু অন্য হাটে নেওয়ার চেষ্টা করেন, পুলিশ এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। ঢাকার বাইরে থেকে যে গাড়িতে কোরবানির পশু আনবেন ব্যবসায়ীরা তারা গাড়ির সামনে নির্দিষ্ট হাটের নাম লিখে ব্যানার টানাবেন।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, কোরবানির পশুর হাটকে কেন্দ্র করে ট্র্যাফিক ব্যবস্থাপনা বড় চ্যালেঞ্জ হয় ঢাকাবাসীর জন্য। পশু হাটকে কেন্দ্র করে যেন যানজট সৃষ্টি না হয় সেদিকে সবাইকে খেয়াল রাখতে হবে। হাটের বাইরে কোনোভাবেই রাস্তায় পশু নিয়ে বসা যাবে না। ঘরমুখো মানুষ যারা যাতায়াত করবেন তারা যেন নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারেন।
এছাড়াও কোরবানির পশুর হাটে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুতের জন্য বিদ্যুৎ বিভাগকে অনুরোধ করা হয়েছে বলে জানান ডিএমপি কমিশনার।
সরাসরি পশুর হাটের পাশাপাশি বেশ কয়েক বছর ধরে অনলাইনে পশু কিনছেন অনেক ক্রেতারাই। তাদের উদ্দেশ্যে কমিশনার বলেন, আমাদের সাইবার টিম অনলাইনের গরুর হাট মনিটরিং করবে। পাশাপাশি আপনারাও অনলাইনে গরু সতর্কতার সঙ্গে জেনে বুঝে কিনবেন।