২৬
এখনো জমে ওঠেনি কোরবানির পশুর হাট। তবে এর মধ্যেই চট্টগ্রামের বিভিন্ন খামারের ৩০ শতাংশের মতো গরু বিক্রি হয়ে গেছে। ১২ জুনের পর থেকে খামারগুলোতে ভিড় আরো বাড়বে বলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের ধারণা। নগরীর বায়েজিদ বোস্তামী থানা এলাকার এশিয়ান অ্যাগ্রোতে কথা বলে জানা গেছে, খামারে ২৫০টির মতো গরু ছিল।
এর মধ্যে ৮০ শতাংশ গরু বিক্রি হয়ে গেছে। ক্রেতারা আগেভাগেই এসে গরু পছন্দ করে কিনে খামারেই রেখে যাচ্ছেন। ঈদের দু-এক দিন আগে এগুলো তাঁদের বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হবে। অন্যান্য অ্যাগ্রো খামারেও একই চিত্র।
এশিয়ান অ্যাগ্রোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ওয়াসিফ আহমেদ সালাম কালের কণ্ঠকে বলেন, পশুখাদ্যের দাম অনেক বেড়ে গেছে। তাই এবার গরুর দাম কিছুটা বেশি। এ বছর ৯০ হাজার থেকে শুরু করে দেড় লাখ টাকার দামের গরুর চাহিদা বেশি। তাঁর খামারে ১৫ লাখ টাকার গরুও বিক্রি হয়ে গেছে।
হামিদ চর এলাকার ইকবাল অ্যাগ্রো ফার্মের মালিক ইকবাল হোসেন জানান, গেল বছর গরু বিক্রি করে লোকসান হয়েছে। খাবারের দাম বেশি হওয়ায় এবার মাত্র ১৫টি গরু লালন-পালন করেছেন, এর মধ্যে পাঁচটি বিক্রি হয়ে গেছে।চট্টগ্রাম ডেইরি ফার্মারস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মালিক মোহাম্মদ ওমর ফারুক কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘খামারেই সব গরু বিক্রি হয়ে যাবে। আমরা বাজারে নিয়ে বিক্রি করি না।’ প্রতিবছরের মতো এবারও চট্টগ্রাম মহানগরীতে দুটি স্থায়ী হাটসহ ১০টি হাট বসবে।
আর জেলার ১৫টি উপজেলায় বসবে ২১০টি পশুর হাট। হাটগুলোতে পশুস্বাস্থ্য তদারকিতে থাকবে জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ৭৩টি মেডিক্যাল টিম। পুলিশের পক্ষ থেকে বিশেষ নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায় জানান, পশুবাহী ট্রাক জোরপূর্বক যেন কোনো হাটে কেউ নিতে বাধ্য না করতে পারে সেদিকে দৃষ্টি রাখা হচ্ছে।
উত্তরাঞ্চলের বৃহৎ গরুর হাট রাজশাহী সিটি বাইপাস হাট এরই মধ্যে জমে উঠেছে। গতকাল সরেজমিনে দেখা গেছে, এই হাটে ক্রেতা সমাগম বেশি। এর বাইরে উপজেলা পর্যায়ে সপ্তাহিক হাটগুলোতেও শুরু হয়েছে পশু কেনা-বেচা। জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, ছোট-বড় মিলিয়ে সাড়ে ১৭ হাজার খামারে ও বিভিন্ন বাসাবাড়িতে এবার পশু লালন-পালন করা হয়েছে। গতকাল সিটি হাট ঘুরে দেখা গেছে, প্রায় ২০ হাজার গরু-মহিষ উঠেছে কেনা-বেচার জন্য। বিক্রি হওয়া পশুগুলোর বেশির ভাগই ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যাবে বলে জানা গেছে। বিক্রেতারা জানান, এবার একেকটি গরু গড়ে ৩০ হাজার টাকা মণ হিসেবে বিক্রি হচ্ছে।
সূত্র: কালের কণ্ঠের ।