২৩.০৬.২০২৪ খ্রি.
উনায়শার গ্রামের সদর দক্ষিণ উপজেলার কুমিল্লার স্থানীয় বাসিন্দা জনাব আব্দুল হালিম। তার পরিবারে স্ত্রী ও তিন মেয়ে আছে। মেয়ে তিনজন পড়াশোনা করে। তিনি গত ১৫ বছর প্রবাস জীবন পার করে দেশে এসে কিছু একটা করতে হবে চিন্তা করেন। পারিবারিক সূত্রে পাওয়া ০২ টি পুকুর যার পরিমান ৪০ শতাংশ। এর সাথে মসজিদ সংলগ্ন ৪০ শতাংশ পুকুরে সম্মিলিত মাছ চাষ শুরু করেন। এসব পুকুরে প্রথমে কার্প জাতীয় মিশ্র মাছ চাষ করেন।
প্রথমে সাফল্য না আসলেও পর্যায়ক্রমে সাফল্য পায়। তিনি বলেন, মাছ চাষে খাবার হিসেবে বাহির থেকে বাড়তি কোন খাবার প্রদান করি না। প্রাকৃতিকভাবে জন্মানো খাবারই মাছের খাবারের উৎস। আব্দুল হালিম বলেন, মাছের পোনা ব্যবসায়ী কাছ থেকে মাছের পোনা ক্রয় করি এবং তা পুকুরে ছাড়ার ব্যবস্থা করি। মাছ চাষে ব্যয় সম্পর্কে বলেন, পুকুরে পাড় মেরামত, সার প্রয়োগ, ওষুধ প্রয়োগ, শ্রমিক আনুষাঙ্গিক খরচ বাবদ ৮০ হাজার টাকা মতো ব্যয় হয়। বছরে মুনাফা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বছরে ২ লাখ টাকা কাছাকাছি বা বেশি টাকার মাছ বিক্রি করি। পাশাপাশি অন্য কোন পেশায় আছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, হ্যাঁ, আমি কিছুদিন যাবত বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করছি পাশাপাশি মাছ চাষ করি।
এসব পুকুর ব্যবস্থাপনা আমি নিজে করি। বিভাগীয় বা নিকটতম মৎস্য অফিসের সাথে যোগাযোগ আছে কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, মৎস্য অফিসের সাথে কোন প্রকার যোগাযোগ বা কোন প্রশিক্ষণ বা কোন অনুদান তিনি গ্রহণ করেননি। তাই মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ তথ্য দপ্তর, আঞ্চলিক অফিস, কুমিল্লার পক্ষ থেকে মাছ চাষে বিভিন্ন প্রকার সমস্যার সম্মুখীন হলে নিকটস্থ মৎস্য অফিসে যোগাযোগ রাখতে বলা হয় এবং মৎস্য কর্মকর্তার সাথে আলোচনা করে মাছ চাষের উপর প্রশিক্ষণ নিতে বলা হয়। এতে করে বৈজ্ঞানিকভাবে বাণিজ্যিক মাছ চাষ করতে পারবেন এবং পরিবারের পুষ্টি চাহিদা মিটিয়ে আর্থিকভাবে সচ্ছলতা ও লাভবান হবেন। এ সময় জনাব আব্দুল হালিমকে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ তথ্য দপ্তরের “মোবাইল অ্যাপস” মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ তথ্য ভান্ডার সম্পর্কে অবহিত করা হয়। পরিশেষে, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ তথ্য দপ্তর কর্তৃক প্রকাশিত মুদ্রণ সামগ্রীর মধ্যে “পাবদা মাছ চাষ, কার্প জাতীয় মিশ্র চাষ, টেংরা মাছ চাষ, পাঙ্গাস মাছ চাষ, কালিবাউশ মাছ চাষ ব্যবস্থাপনা বিষয়ক মুদ্রণ বিনামূল্যে প্রদান করা হয়।
প্রতিবেদনকারী:
খালেক হাসান
কৃষি তথ্য কেন্দ্র সংগঠক
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ তথ্য দপ্তর
আঞ্চলিক অফিস, কুমিল্লা।