২৬/০৬/২০২৪ খ্রি.
ঢাকা জেলার কেরানীগঞ্জ উপজেলার তারানগর ইউনিয়নের সুমন একজন ব্যবসায়ী। পাশাপাশি তিনি নিজ উদ্যোগে ২০২০ সালে একটি ৩০ শতাংশের পুকুর লিজ নিয়ে মাছচাষ শুরু করেন। মাছচাষের ফলে অতি অল্প সময়েই ভাল লাভবান হন। নিজের চাষকৃত মাছ তিনি নিজেই বিভিন্ন আড়ৎ ও মাছবাজারে বিক্রয় করেন এবং ধীরে ধীরে ২০২৩ সালে তার নিজস্ব মেরামতহীন ২৮ শতাংশের একটি পুকুর মাছচাষে উপযোগী করেন এবং আরো ১টি পুকুর লিজ নেন। সেখানে কার্প জাতিয় মাছ চাষ শুরু করেন। এতে তার মোট ২টি পুকুর থেকে বাৎসরিক প্রায় ২ লাখ টাকা লাভ হয়।
পুকুরে মাছ এবং মাছের খাবার ব্যবস্থা সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, তার পুকুরে রুই, কাতলা, মৃগেল, গ্রাস কার্প, সিলভার কার্প জাতিয় মাছ মৃশ্র চাষ করেন। এবং সকাল ও বিকেল ২ বেলা মাছের খাবার (ফিড) প্রয়োগ করে থাকেন।
মাছের পোনা সংগ্রহের ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, সরকারি মৎস্য বীজ উৎপাদন খামার থেকে তিনি সুস্থ সবল পোনা সংগ্রহ করে তার পুকুরে অবমুক্ত করেন।
এছাড়া মৎস্য বিষয়ক প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন কিনা তা জানতে চাইলে তিনি বলেন, উপজেলা মৎস্য অফিস থেকে ৩ দিনের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন। যেমন- আধুনিক পদ্ধতিতে মাছ চাষ ব্যস্থাপনা, কার্প জাতীয় মাছের মিশ্র চাষ ব্যবস্থাপনা, কৈ,শিং, মাগুর মাছের মিশ্র চাষ ব্যবস্থাপনা, দেশীয় প্রজাতির মাছচাষ ইত্যাদি।
পরিশেষে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ তথ্য দপ্তর, আঞ্চলিক অফিস, ঢাকা থেকে সুমন কে মাছচাষ বিষয়ক বিভিন্ন লিফলেট বিনামূল্যে বিতরণ করে, মাছচাষ ও মাছের যেকোন রোগের লক্ষণ পরিলক্ষিত হলে সংশ্লিষ্ট উপজেলা মৎস্য অফিসে যোগাযোগের পরামশ প্রদান করা হয়।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ তথ্য দপ্তর, আঞ্চলিক অফিস, ঢাকা থেকে ২ জন কর্মচারী খামারটি পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনকালে খামারিকে পরামর্শ প্রদান করেন মো. খাদেমুল ইসলাম, কৃষি তথ্য কেন্দ্র সংগঠক এবং খামারির ছবি ও ভিডিও ধারণ করেন মো. সামিউল ইসলাম,অডিও ভিজ্যুয়াল ইউনিট অপারেটর ।
প্রতিবেদনকারী
(মো. খাদেমুল ইসলাম)
কৃষি তথ্য কেন্দ্র সংগঠক
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ তথ্য দপ্তর
আঞ্চলিক অফিস, ঢাকা।