শফিক আদনান, কিশোরগঞ্জ
‘কৃষি ও পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর’ এমন গুজব ছড়িয়ে কিশোরগঞ্জে এক ধরনের স্থলচর শামুক নির্বিচারে মারা হচ্ছে। কৃষি বিভাগও আফ্রিকান জায়ান্ট নামে পরিচিত শামুকটি মেরে ফেলার পরামর্শ দিচ্ছে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এর খারাপের চেয়ে ভালো দিকই অনেক বেশি। তাঁরা এটি ধ্বংস না করার আহবান জানিয়েছেন।
গত শুক্রবার তাড়াইল সরকারি পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে রাস্তায় গিয়ে জানা যায়, স্থানীয় কৃষক আলিউর রহমান এসব শামুক অপসারণের কাজ করছেন। তিনি একটি বালতিতে এগুলো সংগ্রহ করছেন।
সংগঠনের সভাপতি জেনাস ভৌমিক বলেন, এ শামুকের যন্ত্রণায় ঘরে থাকা যাচ্ছে না।
এদিকে তাড়াইল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুমন কুমার সাহাও শামুকটি আফ্রিকান জায়ান্ট বলে শনাক্ত করেছেন। তিনি এ শামুক ক্ষতিকর দাবি করে বলেন, এ শামুকের উপদ্রব নিয়ে তারা উপজেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভায় আলোচনা করেছেন। এটি যেন ছড়িয়ে না পড়ে সে লক্ষ্যে কৃষি বিভাগ কাজ করছে।
এ শামুক নিয়ে গবেষণা করেছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. এম এ সালাম। তিনি বলেন, এ শামুক ক্ষতিকর নয়। পরিবেশ, জীববৈচিত্র্যের সহায়ক। এ শামুকের মাংস খুবই মূল্যবান। আফ্রিকায় এ শামুকের খামার রয়েছে। দেশে এটি হতে পারে লাভজনক বাণিজ্য খাত। কাজেই গুজবে কান দিয়ে এগুলো ধ্বংস করা যাবে না।