মাছ চাষ করে স্বাবলম্বী হয়েছেন ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার মৎস্য চাষিরা। ভেটকি মাছ চাষের পদ্ধতি দেখতে বিভিন্ন উপজেলা থেকে ভিড় করছেন অসংখ্য মৎস্য চাষিরা।
উপজেলা ঘুরে দেখা যায়, কুকরি-মুকরি, চর মানিকা, জাহানপুর, শশীভূষণ, নজরুলনগর, জিন্নাগড় ও হাজারিগঞ্জ ইউনিয়নে প্রায় ১২০ একর পুকুরে ভেটকি মাছ চাষ করছেন অসংখ্য মৎস্য চাষিরা। এখানে বাণিজ্যিকভাবে ভেটকি মাছ চাষ করে একদিকে যেমন স্বাবলম্বী হচ্ছেন চাষিরা, অন্যদিকে মাছ উৎপাদন, আহরণ, পরিবহণ ও বাজারজাতকরণ কাজে অসংখ্য বেকার যুবকের সৃষ্টি হয়েছে কর্মসংস্থানের।
মৎস্য চাষি হারুন মিজি, মো. সজীব, মেহেদী হাসান ও মো. মঞ্জু বলেন, এতদিন আমরা সনাতন পদ্ধতিতে মাছ চাষ করতাম। বর্তমানে আধুনিক পদ্ধতিতে মাছ চাষ করছি। স্থানীয় চাহিদা পূরণ করে আমরা এখন ভেটকি মাছ ঢাকা-বরিশালসহ বিভিন্ন জায়গায় বিক্রির জন্য পাঠিয়ে থাকি। এতে খরচ পুষিয়ে বছরে ৩ থেকে ৫ লাখ টাকা লাভ হয়ে থাকে আমাদের।
সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মারুফ হোসেন মিনার জানায়, ‘এই উপজেলায় যে হারে ভেটকি মাছ চাষ বৃদ্ধি পাচ্ছে, এতে নিশ্চিত বেকারত্ব নিরসন ও অর্থনীতির নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন হবে।’ মৎস্য অধিদপ্তর থেকে চাষিদের সব ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে বলেও জানায় এ মৎস্য কর্মকর্তা।
সূত্র: আধুনিক কৃষি খামার।