সিরাজগঞ্জ জেলা জুড়ে গরু লালন পালনে ঝুঁকছেন শিক্ষিত তরুণরা। দুধের পাশাপাশি মাংস উৎপাদন করে খুব সহজেই লাভবান হওয়া যায় বলে পড়াশুনার পাশাপাশি খামার গড়তে উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন তারা।
জেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের সূত্রমতে, জেলায় ছোট-বড় প্রায় ৩৩ হাজার গরুর খামারে ১৫ লাখেরও বেশি গরু রয়েছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরে এ জেলায় ৬ লাখ ৪০ হাজার মেট্রিক টন দুধ উৎপাদন হয়, যা চলতি অর্থবছর বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ১৬ হাজার মেট্রিক টনে। জেলায় গড়ে প্রতিদিন ২০ লাখ ২৭ হাজার লিটার দুধ উৎপাদন হয়।
সরেজমিনে গিয়ে এমনি একজন তরুণ শামীমের সাথে কথা বলে জানা যায়, উচ্চ মাধ্যমিক পাস করার পর ২০১৯ সালে তিনটি বকনা বাছুর দিয়ে দুগ্ধ খামারের যাত্রা শুরু করেন। বর্তমানে তার খামারে ৪০টি গরু রয়েছে, যার মধ্যে ২০টি গাভি। এর মধ্যে ১২টি গাভী থেকে উৎপাদিত প্রতিদিন গড়ে ৮০ লিটার দুধ বিক্রি করেন তিনি।
আব্দুর রাজ্জাক নামের আরেক উদ্যোক্তা বলেন, পড়াশোনা শেষ করে সরকারি চাকরির জন্য চেষ্টা করেছিল্ম। কিন্তু, খুব একটা সুবিধা করেতে পারিনি। তাই চাকরির আশা বাদ দিয়ে নিজেই কিছু করার মনস্থির করি। এরইপ্রেক্ষিতে গরু লালন পালনে আসা। পরবর্তীতে ২০২১ সালে দুটি গাভি কিনে দুগ্ধ খামার গড়ে তুলেছি। এখন আমার খামারে ২৫টি গরু রয়েছে, যার মধ্যে গাভি ১৪টি। তবে খামারে যা বিনিয়োগ করেছিলাম সেটা উঠে গেছে। যদি গোখাদ্যের দাম একটু কম হতো তাহলে আমরা বেশি লাভবান হতাম।
সিরাজগঞ্জ জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. ওমর ফারুক বলেন, গবাদিপশু লালন পালন একটি লাভজনক পেশা। বর্তমানে অনেক শিক্ষিত তরুণরাও ডেইরি খামারে বিনিয়োগ করছেন। তারা লাভবানও হচ্ছেন। পাশাপাশি বিভিন্ন দুগ্ধজাত পণ্যের উদ্যোক্তা তৈরি হচ্ছে। নতুনদের সব সময় বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ ও সহযোগিতা প্রদান করা হচ্ছে।
সত্র: আধুনিক কৃষি খামার।