বাণিজ্যিকভাবে বারোমাসি কাঁঠাল চাষে সফল হয়েছেন গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের মুলাইদ উত্তর পাড়া গ্রামের সফল উদ্যোক্তা মাহমুদুল হাসান সবুজ। তার দেখাদেখি এলাকার এখন অনেকেই কাঁঠাল চাষে ঝুঁকছেন।
জানা যায়, ২০২৩ সালে ভারত থেকে চারা সংগ্রহ করে প্রায় ৩০ শতাংশ জমিতে বাণিজ্যিকভাবে ভিয়েতনামের বারোমাসি জাতের কাঁঠাল বাগান শুরু করেন। বর্তমানে প্রতিটি গাছ প্রায় ৫০-৬০টি কাঁঠাল ধরেছে। গড় ওজন প্রায় ৫-৬ কেজি। প্রতি পিচ কাঁঠাল পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ৪০০-৫০০ টাকা দরে।
কৃষি উদ্যোক্তা মো. মাহমুদুল হাসান সবুজ জানান, বছরের প্রথম থেকে গাছে ফল আসলেও ফল বাজারে বিক্রির উপযুক্ত হয় মার্চ মাস থেকে। এই জাতের কাঁঠালের গায়ের রঙ কাঁচায় গাঢ় সবুজ। আর পাকলে ভিতরের রঙ গাঢ় হলুদ। কাঁঠাল খেতে মিষ্টি, সুস্বাদু এবং সুগন্ধি যুক্ত হয়। অন্যান্য কাঁঠালের তুলনায় এ জাতের কাঁঠালে আঠা কম হয়। উৎপাদন খরচও তুলনামূলক কম। নিয়মিত পরিচর্যা, আর জৈব সার ব্যবহার করলেই হয়। সবুজ আরোও বলেন, এ ধরনের বাগান বাংলাদেশেই খুবই কম।
তিনি আরও বলেন, এ জাতের কাঁঠালে তেমন কোনো খরচ নেই। চারাও বেশ চাহিদা রয়েছে। নার্সারিতে প্রতিদিন লোকজন আসছে কেনার জন্য। তিনি ৩৫ শতাংশ জমি থেকে চাষ শুরু করলেও বর্তমান দেড় বিঘা জমিতে তার কমলা, ড্রাগন, মাল্টা, পেয়ারসহ মিশ্র বিভিন্ন ধরনের ফলের চাষ রয়েছে।
শ্রীপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুমাইয়া সুলতানা বন্যা বলেন, কৃষি উদ্যোক্তা সবুজের বাগানে সার্বিক পরামর্শ দেওয়া হয়।সবুজ একজন তরুণ কৃষি উদ্যোক্তা। বাজারে বারোমাসি কাঁঠালের চাহিদা রয়েছে। কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে তাকে সার্বিক সাহায্য সহযোগীতা করা হবে।
সূত্র: আধুনিক কৃষি খামার।