মাত্র ১টি ছাগল বর্গার মাধ্যমে নিয়ে লালন পালন শুরু করেছিলেন যশোরের চৌগাছা উপজেলার সুকপুকুরিয়া ইউনিয়নের রামকৃষ্ণপুর গ্রামের দিনমজুর আব্দুর রাজ্জাক। সেই যে শুরু আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। এর পর ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে ছাগলের সংখ্যা। বর্তমানে তার খামারে ছাগল রয়েছে ১০০ টির অধিক। যা থেকে প্রতি বছর ২ লাখ টাকারও বেশি আয় করেন তিনি ।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ছাগল চড়াতে ব্যস্ত সময় পার করছেন রাজ্জাক। তার ছাগলের খামারে রয়েছে খাসি ও বকরি। যেখানে ইতোমধ্যে ২০ টি বকরির পেটে বাচ্চা এসেছে। ৬ বছর আগে স্বল্প পরিসরে শুরু করা খামারের মাধ্যমে তিনি সংসারে এনেছেন স্বচ্ছলতা। ইতোমধ্যে খামারের লাভের টাকা দিয়ে তিনি ৪ বিঘা জমি ক্রয় করেছেন।
এ প্রসঙ্গে রাজ্জাক বলেন, শুরুটা মোটেও সুখকর ছিলনা। শুরুর দিকে অনেক কষ্ট করতে হয়েছে। অভাব অনটনের মধ্য দিয়ে দিন পার করেছি। কিন্তু নিজের স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথে কখনো বিচ্যুত হয়নি। কঠোর পরিশ্রম, ধৈর্য দিয়ে আজ এ পর্যায়ে এসেছি।
তিনি আরও জানান, বর্ষা মৌসুমে বাড়তি খাবার দিতে হয়। অন্য সময় বাড়তি খাবরের প্রয়োজন হয় না। মাঠ চরিয়ে খাবারের চাহিদা পূরণ হয়ে যায়। তাদের ছাগল পালন দেখে আশপাশের অনেকেই ছাগল পালনে আগ্রহী হয়ে উঠছে।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আনোয়ারুরল কবির বলেন, ছাগল পালন বেশ লাভজনক। সঠিকভাবে খামার পরিচালনা করলে ছাগল পালনের মাধ্যমে ব্যাপক আয় করা সম্ভব। ছাগল পালনের মাধ্যমে রাজ্জাক এলাকায় বেশ সাড়া জাগিয়েছে। তার সাফল্যে এলাকার এখন অনেকেই ছাগল পালনে উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন। প্রাণিসম্পদ অফিসের পক্ষ থেকে বিনামূল্যে কৃমিনাশক ওষুধ, সরকারি মূল্যে ভ্যাকসিন, প্রশিক্ষণ ও চিকিৎসাসেবা প্রদান করা হচ্ছে।
সূত্র: আধুনিক কৃষি খামার