২৬
প্রজনন নির্বিঘ্ন করতে সাগরে মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞার মধ্যে চট্টগ্রামের বাঁশখালী সমুদ্র উপকূলের পাঁচটি স্পটে প্রতিদিন নোঙর করছে মাছভর্তি শতাধিক মাছ ধরার নৌকা।
বিভিন্ন হাট-বাজারে তা প্রকাশ্যে বেচাকেনাও হচ্ছে। অভিযোগ উঠেছে, সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরকে ‘ম্যানেজ’ করে কিছু প্রভাবশালী বহদ্দার সামুদ্রিক মাছ ব্যবসা প্রকাশ্যে চালিয়ে যাচ্ছেন।এদিকে মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা চলাকালে বরফকলগুলোর ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকলেও বাঁশখালীতে ২২টি বরফকল চালু রেখেছেন এর মালিকপক্ষ। এ ব্যাপারে প্রশাসনও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।
চট্টগ্রাম জেলা মৎস্য কর্মকর্তা শ্রীবাস চন্দ্র চন্দ বলেন, ‘সাগর বিশাল এলাকা, আমাদের লোকবল কম।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মাহমুদুল ইসলাম বলেন, ‘বরফকলগুলোতে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা উচিত পল্লী বিদ্যুতের ডিজিএম সাহেবের। কিন্তু তিনি বন্ধ করছেন না।
উজ্জ্বল বিশ্বাস, বাঁশখালী (চট্টগ্রাম)
এসব মাছ প্রতি রাতে দেশের বিভিন্ন স্থানে বাঁশখালী প্রধান সড়ক হয়ে ট্রাকে ট্রাকে সরবরাহ করা হলেও সংশ্লিষ্ট কোনো দপ্তরই প্রভাবশালী ব্যবসায়ীদের বাধা দিচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, মাছ ধরার ক্ষেত্রে সরকারনির্ধারিত ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষ হবে আগামী ২৩ জুলাই। গত ২০ মে শুরু হওয়া এই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে গত পাঁচ দিন আগে থেকে প্রতিদিন শিকার করা হচ্ছে সামুদ্রিক মাছ।
গত শনিবার বিকেলে সরেজমিনে সংশ্লিষ্ট এলাকা ঘুরে জানা গেছে, বাঁশখালীর শেখেরখীল ফাঁড়ির মুখ, চাম্বল বাংলাবাজার, ছনুয়া-কুতুবদিয়া ঘাট, খানখানাবাদ, কদমরসুল—এই পাঁচটি স্পটের সমুদ্র উপকূলে শতাধিক মাছ ধরার নৌকা থেকে প্রতিদিন সামুদ্রিক মাছ খালাস করা হচ্ছে। এসব মাছ প্রতি রাতে বাঁশখালী প্রধান সড়ক হয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পাঠানো হচ্ছে। স্থানীয় জেলেরা জানান, প্রভাবশালী বহদ্দারদের (মাছ ব্যবসায়ী) চাপের মুখে উপকূল ছেড়ে সাগরে মাছ ধরতে গেছে সহস্রাধিক মাছ ধরার নৌকা নিয়ে কয়েক হাজার মাঝি-মাল্লা।
তাই জেলেরা আমাদের আড়ালে মাছ ধরছে। তবে আমাদের অভিযান চলছে। আজ (রবিবার) থেকে সংশ্লিষ্ট বাহিনীর মনিটরিং বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য বলা হবে।’
’ মাছ ধরা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এরই মধ্যে কিছু মাছ আটক করে জরিমানা করা হয়েছে। প্রজনন মৌসুমে মাছ ধরা পুরোপুরি বন্ধে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের আন্তরিক হওয়া উচিত।’