রংপুর অঞ্চলে রঙিন মাছের চাষ বাড়ায় আমদানিনির্ভরতা কমেছে। তবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দেশীয় চাহিদার চেয়ে বেশি উৎপাদন হলেও আমদানি বন্ধ না হওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন সম্ভাবনাময় এ মাছ চাষিরা। অভ্যন্তরীণ বাজার গড়ে তোলার পাশাপাশি রফতানি করা গেলে এ খাত থেকে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা আয় সম্ভব।
অ্যাকুরিয়ামে পালন করা চোখজুড়ানো রঙিন মাছ পালন দিনদিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে এ জেলায়। রংপুর মেডিকেল এলাকায় নিজের বাড়িতে বাণিজ্যিকভাবে এ মাছের চাষ করছেন মৃদুল রহমান। বছরে দুই লাখ রেণুপোনা উৎপাদন করে বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদনকারীদের কাছে সরবরাহ করছেন দেশের বিভিন্ন স্থানে
মৃদুল জানান, এখন দেশের অভ্যন্তরীণ চাহিদার তিন গুণ উৎপাদন হচ্ছে এ মাছ। তবে রঙিন মাছ বিদেশে রফতানি করে লাভবান হওয়ার সুযোগ থাকলেও জীবিত মাছ রফতানির জটিলতায় এ সম্ভাবনা আটকে আছে।
এদিকে, এসব রঙিন মাছ রাজধানী ঢাকাসহ বাইরের জেলা থেকে সংগ্রহ করতে বেশি ব্যয়ের কারণে স্থানীয়ভাবে সংগ্রহ করা গেলে ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয়ই লাভবান হতে পারেন বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। তারা বলছেন, স্থানীয়ভাবে উৎপাদন বাড়ানো গেলে খরচ কমে আসবে। এতে কমা দামে মাছ কেনাবেচা করা সম্ভব হবে।
তবে চাষের সঙ্গে সম্পৃক্ত যে কোন উদ্যোক্তাকেই পরামর্শ ও প্রশিক্ষণ দেয়ার সুযোগ আছে বলে জানালেন মৎস্য কর্মকর্তা। জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বদরুজ্জামান মানিক বলেন, এ ধরনের মাছ চাষে প্রশিক্ষণের সুযোগ রয়েছে। উদ্যোক্তারা চাইলে তাদের প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ দেয়া হবে। এতে তারা মাছ চাষ করে স্বাবলম্বী হওয়ার পাশাপাশি কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করতে পারবেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, কবছর আগেও থাইল্যান্ড ও জাপান থেকে বছরে বিভিন্ন প্রজাতির অন্তত ২শ কোটি টাকার রঙিন মাছ আমদানি হতো দেশে।
সূত্র: লেটেস্টবিডিনিউজ