পাটের ভালো আঁশ পেতে হলে গাছে ফুলের কুড়ি আসা মাত্রই কাটতে হবে। কাটার পর চিকন ও মোটা পাট গাছ আলাদা করে আঁটি বেঁধে পাতা ঝরিয়ে গাছের গোড়া ৩-৪ দিন ১ ফুট পানিতে ডুবিয়ে রাখতে হবে। পরে পরিষ্কার পানিতে জাগ দিতে হবে।
জাগ দেওয়ার জন্য খুব গভীর পানি প্রয়োজন নেই। মাঠে ঘাসের ওপর ১ ফুট থেকে দেড় ফুট পানি থাকলে সেখানেও জাগ দেওয়া যায়। তবে পাট গাছের সংখ্যা বা পরিমাণ বেশি হলে আরও গভীর পানি দরকার হয়, যাতে জাগ ডুবতে পারে।
জাগ দেওয়ার পর নিয়মিত গাছ পরীক্ষা করে দেখতে হয় যাতে বেশি পঁচে না যায়। আঁশ মাটিতে বসিয়ে না নিয়ে পানিতে ভাসিয়ে নেওয়া ভালো। কেননা তাতে আঁশে মাটি, কাঁকর থাকার সম্ভাবনা কমে। এরপর পরিষ্কার পানিতে ধোয়া দরকার।
এরপর চাড়িতে বা চার কোণা গর্ত করে পাটের ছাল জাগ দেওয়া যায়। পচানোর সময় পানিতে যদি ছালের ওজনের আনুমানিক ৩৭ কেজি ওজনের জন্য ৫ গ্রাম ইউরিয়া সার মিশিয়ে দেওয়া যায়, তবে পচন আরও তাড়াতাড়ি হয়। তাছাড়া ১ সপ্তাহ পলিথিন বা বস্তা দিয়ে ঢেকে রেখে গোড়ার দিকটা পুনরায় ধুয়ে নিলেই আঁশ ছালমুক্ত হয় এবং আঁশের মানও ভালো হয়।
এরই মধ্যে পাট পচে গেলে তা আঁশ ছাড়ানোর ব্যবস্থা নিতে হবে। পাটের আঁশ ছাড়িয়ে ভালো করে ধোয়ার পর ৪০ লিটার পানিতে ১ কেজি তেঁতুল গুলে তাতে আঁশ ৫-১০ মিনিট ডুবিয়ে রাখতে হবে। এতে উজ্জ্বল বর্ণের পাট পাওয়া যায়।
যেসব জায়গায় জাগ দেওয়ার পানির অভাব; সেখানে রিবন রেটিং পদ্ধতিতে পাট পচাতে পারেন। এতে আঁশের মান ভালো হয় এবং পচন সময় কমে যায়। মনে রাখতে হবে, পাট কাটার সঙ্গে সঙ্গে ছালকরণ করতে হবে। তা না হলে পরে রোদে পাটগাছ শুকিয়ে গেলে ছালকরণে সমস্যা হবে।