ঢাকা জেলার সাভার উপজেলার পাথালিয়া ইউনিয়নের আসিফ একজন ছাএ । তেজগাঁও কলেজে বিবিএ করে ২০২১ সালে বাসার সামনে প্রথম মাছ চাষ শুরু করেন এই উদ্যোক্তা। প্রথম অবস্থায় প্রায় পাঁচ লাখ টাকা খরচ করে একটি পুকুরে রুই, কাতলা, তেলাপিয়া, মৃগেলসহ বিভিন্ন মাছের চাষ করেন তিনি। কিছুদিনের মধ্যে মাছ বিক্রি করে লাভের মুখ দেখেন আসিফ।
এরপর পর্যায়ক্রমে বাড়তে বাড়তে প্রায় ১০টি পুকুরে করেন মাছের চাষাবাদ। পুকুর করতে ও মাছের পেছনে যা খরচ হয়েছে, বর্তমানে বাজারে মাছ বিক্রি করে তার দ্বিগুণ লাভ করছেন এই সফল উদ্যোক্তা। তার উৎপাদিত মাছ শুধু নিজ জেলায় নয়, পাশের জেলাগুলোতেও বিক্রি করেন তিনি। এযাবৎ ১০টি পুকুরের মাছ বিক্রি করে প্রায় ২০ লাখ টাকার মতো আয় করেন বলে জানান এই উদ্যোক্তা।
আসিফ বলেন, আমি প্রায় তিন বছর ধরে মাছ চাষের সঙ্গে জড়িত। পড়াশোনা শেষ করে আমি মাছের ব্যবসা ধরেছি। প্রথমে একটি পুকুরে মাছ চাষ শুরু করেছিলাম। এরপর আস্তে আস্তে ১০টি পুকুরে মাছের চাষ শুরু করি।
মাছের সুষম খাদ্য বিষয়ে তিনি বলেন, আমার পুকুরে মাছের জন্য প্রতিদিন এক বেলা করে ফিড ও দুই বেলার করে হাতের তৈরি খাবার ব্যবহার করি। মনে রাখতে হবে পুকুরে পানি যাতে পরিষ্কার থাকে। গ্যাসের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। পানিতে সঠিক পরিমাণ লবণ ও চুন ব্যবহার করতে হবে।
এ ছাড়া মৎস্য অধিদপ্তর থেকে আমাদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। এখন তারা প্রতিনিয়ত আমাদের খোঁজখবর রাখছে। আমি মনে করি এই মাছ চাষের মাধ্যমে সমাজের বেকার সমস্যা দূর করা যাবে বলে যুবসমাজকে আশ্বস্ত করেন তিনি।
সফল উদ্যোক্তা আসিফ এর মাছ চাষের সফলতার গল্প বর্তমানে এলাকার মানুষের মুখে মুখে। এলাকার অনেকেই তাকে অনুসরণ করে এবং তার কাছ থেকে পরামর্শ নিয়ে শুরু করেছেন মৎস্য চাষ।
স্থানীয় মাছচাষি সফিকুল ইসলাম, এজহারুল ইসলামসহ বেশ কয়েকজন বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই আমাদের এলাকার আসিফ মাছ চাষ করে আসছে। এই খাতে অনেক লাভবান হয়েছেন তিনি। আমরা তার মাধ্যমে অনেক কিছু জানতে পেরেছি। তার মাধ্যমেই বিভিন্ন প্রশিক্ষণ নিয়েছি। এখন আমরাও আমাদের পুকুরে মাছ চাষ করছি। মাছ বিক্রি করে আমরাও লাভ করেছি।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ তথ্য দপ্তর, আঞ্চলিক অফিস, ঢাকা থেকে ২ জন কর্মচারী খামারটি পরিদর্শন করেন। পরিদর্শন কালে খামারিকে পরামর্শ প্রদান করেন মো. খাদেমুল ইসলাম, কৃষি তথ্য কেন্দ্র সংগঠক, এবং খামারির ছবি ও ভিডিও ধারণ করেন মো. সামিউল ইসলাম, অডিও ভিজ্যুয়াল ইউনিট অপারেটর ।