সুস্থ ও কর্মক্ষম থাকার প্রধান শর্ত হচ্ছে, সুষম খাবার গ্রহণ। সুষম খাদ্যের উপাদানগুলো হলো প্রোটিন, শর্করা, স্নেহ, ভিটামিন, মিনারেল ও পানি। প্রোটিনের একটি ভালো উৎস হলো মাছ। মাছে উপকারী চর্বি থাকে। মাছের মধ্যে আবার ছোট মাছ অতুলনীয় পুষ্টি উপাদানে ভরপুর।
ছোট মাছ আকারে ছোট হলেও পুষ্টিতে কম নয়। প্রতি ১০০ গ্রাম ছোট মাছে আমিষের পরিমাণ ১৪-১৯ ভাগ থাকে। মাছের আমিষ হলো উন্নত মানের আমিষ। শিশু থেকে প্রবীণ সবাই নিশ্চিন্তে ছোট মাছ খেতে পারে।
ছোট মাছের উপকারিতা
● গর্ভের শিশুর বৃদ্ধি ও গঠন ভালো হয়। প্রসূতি মায়ের বুকের দুধ তৈরির জন্য তাঁদের প্রতিদিনের খাবারে আমিষের প্রয়োজন অত্যন্ত বেশি। এ জন্য তাঁদের খাদ্যতালিকায় ছোট মাছ রাখা দরকার। পাশাপাশি এ মাছে থাকা প্রচুর ক্যালসিয়াম হাড়ের ঘনত্ব ঠিক রাখে।
● জন্মের পর শিশুর শারীরিক বৃদ্ধিতে ভিটামিন ‘এ’, ‘ডি’, খনিজ লবণের প্রয়োজন হয় খুব বেশি। এ জন্য স্তন্যদানকারী মায়েদের ছোট মাছ খাওয়া দরকার।
● ভিটামিন ‘এ’-এর অভাবে প্রতিবছর হাজার হাজার শিশু অন্ধ হয়ে যায়। রাতকানা রোগে ভোগে। সে জন্য খাদ্যতালিকায় ছোট মাছ রাখা আবশ্যকীয়।
● পর্যাপ্ত আমিষের অভাবে বাড়ন্ত ছেলেমেয়েদের দৈহিক উচ্চতা বাধাগ্রস্ত হয়। তাই তাদের খাদ্যতালিকায় দরকার ছোট মাছ। কারণ, এর আমিষ দেহের বৃদ্ধি সাধন ও ক্ষয় পূরণের কাজে লাগে বেশি।
মনে রাখা জরুরি, ছোট মাছ সাধারণত কোনো রোগে নিষেধ নয়। উপকারী প্রোটিন ও ফ্যাট থাকায় এটি সব বয়সেই নিরাপদ। এতে অ্যালার্জির ঝুঁকিও কম।
হাসিনা আকতার লিপি, কনসালট্যান্ট পুষ্টিবিদ, ল্যাবএইড ও পার্ক ভিউ হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক লিমিটেড, চট্টগ্রাম হার্ট ফাউন্ডেশন, চট্টগ্রাম