আমাদের দেশে শিং মাছ একটি জনপ্রিয় মাছ। জলজ পরিবেশ বিপন্ন হওয়ায় মাছটি হারিয়ে যেতে বসেছে। সুস্বাদু মাছটি বিলুপ্তির হাত থেকে রক্ষা করতে বেশি বেশি চাষ করা প্রয়োজন। তাই জেনে নিন শিং মাছের চাষপদ্ধতি।
শিং মাছের বৈশিষ্ট্য
১. বেশি ঘনত্বে শিং মাছ চাষ করা যায়।
২. কম গভীরতাসম্পন্ন পুকুরেও চাষ করা যায়।
৩. জীবন্ত বাজারজাত করা যায়।
৪. তুলনামূলভাবে বাজারমূল্যও বেশি।
শিং মাছ চাষপদ্ধতি
• শিং মাছ চাষের জন্য ১-১.৫ মিটার গভীরতা বিশিষ্ট পুকুর উপযুক্ত।
• পুকুরের পাড় মেরামত করে পুকুর থেকে রাক্ষুসে মাছ সরিয়ে ফেলতে হবে।
• পুকুর শুকিয়ে ফেলতে পারলে সবচেয়ে ভালো হয়।
• প্রতি শতাংশে ১ কেজি চুন, ৬-১০ কেজি গোবর, ১০০ গ্রাম ইউরিয়া এবং ৫০ গ্রাম টিএসপি সার প্রয়োগ করে পুকুর তৈরি করতে হবে।• সার প্রয়োগের ৪-৫ দিন পর পুকুরের পানি সবুজ বা হালকা বাদামি হলে পুকুরে শতাংশ প্রতি ৭৫০-১০০০টি পোনা মজুত করতে হবে।
• নার্সারি পুকুরে ৫-১০ দিন বয়সের ধানি পোনা অথবা ৩-৪ দিন বয়সের রেণু পোনা।
• নার্সারি পুকুর সঠিকভাবে প্রস্তুত করে ৫-১০ দিন বয়সের ধানি পোনা শতাংশপ্রতি ৮,০০০-১০,০০০টি পর্যন্ত অথবা রেণু পোনা ১০০ গ্রাম পর্যন্ত মজুত করা যেতে পারে।
• ব্রুড ও মজুতকৃত মাছকে নিয়মিত সুষম খাবার সরবরাহ করতে হবে।
• নার্সারি পুকুরে রেণু/ধানি পোনা ছাড়ার আগে ক্ষতিকর হাঁস, পোকা ও ব্যাঙাচি ইত্যাদি অপসারণ করতে হবে।
• নার্সারি পুকুর জাল দিয়ে ঘিরে দিতে হবে।
• চাষে পুকুরের পাড় উঁচু রাখতে হবে, যাতে বর্ষায় মাছ বের হয়ে যেতে না পারে।
• সুস্থ সবল পোনা মজুত করতে হবে।
• নিয়মিত জাল টেনে মাছের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে হবে।
• পানির গুণাগুণের প্রতি খেয়াল রাখতে হবে।