০৮.০৮.২০২৪ খ্রি.
কুমিল্লার আদর্শ সদর উপজেলার বিবির বাজার এলাকার বাসিন্দা আবু সাঈদ। তিনি একজন প্রবাসী। যৌথ পরিবারে পাঁচ ভাই ও এক বোনের মধ্যে তিনি ছোট। আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার জন্য বিদেশে যান। ২০২৩ সালে প্রবাস জীবনকে বিদায় জানিয়ে নিজ গ্রামে প্রাণিসম্পদ খামার গড়ে তুলেন। তার খামারে বর্তমানে ২০ টার মতো দেশি জাতের গবাদিপশু আছে। এসব গবাদিপশুকে খাবার উপাদান হিসাবে ভুষি, চাউলের কুড়া, ফিডের পাশাপাশি কাঁচা ঘাস রাখেন। গবাদিপশুর ফার্মটি দেখাশোনা করার জন্য ০১ জন কর্মচারী রাখা হয়েছে, পাশাপাশি নিজেও সার্বিক দেখভাল করেন। তিনি বলেন, আর্থিক স্বচ্ছতা পেতে খামার গড়ার উদ্যোগ গ্রহণ করেন। এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা হিসেবে এই প্রাণিসম্পদ খামারটিকে ডেইরি খামার হিসেবে করবেন বলে জানান।
খামারে গবাদিপশুর রোগ, ভ্যাকসিন সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার খামারটিতে গবাদিপশুর রোগের মধ্যে গবাদিপশুর লাম্পি, ক্ষুরা, তড়কা, বাদলা দেখা দিয়েছে আর আমি নিজে অনলাইন থেকে গবাদিপশুর রোগ প্রতিরোধে প্রাথমিক চিকিৎসা করি এবং কোন প্রকার ভ্যাকসিন দেওয়া হয় না। খামারটি পরিচালনা করতে বছরে আয় ব্যয় সম্পর্কে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, খাদ্য, শ্রমিক, চিকিৎসা ও অন্যান্য খরচ বাবদ প্রায় ৩০ লক্ষ টাকার মতো ব্যয় হয় আর বছর শেষে ২ থেকে ৩ লক্ষ বা কম বেশি লাভ হয়। নিকটতম উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসে যোগাযোগ আছে কিনা জানতে চাইলে আবু সাঈদ বলেন, প্রাণিসম্পদ অফিসের সাথে কোন প্রকার যোগাযোগ নেই।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ তথ্য দপ্তর, আঞ্চলিক অফিস, কুমিল্লার পক্ষ থেকে প্রাণিসম্পদ অফিসের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা ও সেবা সম্পর্কে অভিহিত করা হয় এবং নিকটতম প্রাণিসম্পদ অফিসে যোগাযোগ স্থাপন করে গবাদি পশু লালন পালনের জন্য প্রশিক্ষণ নিতে বলা হয়। সবশেষে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ তথ্য দপ্তর কর্তৃক প্রকাশিত মুদ্রণ সামগ্রীর মধ্যে সাইলেজ (গোখাদ্য সংকটে সমাধান), মহিষ পালন, ছাগল পালন, তড়কা (এনথ্রাক্স) রোগ করণীয়, গ্রামীণ পরিবেশে হাস পালন, বর্ষা মৌসুমে তাজা ও ভিজা খড় সংরক্ষণ/সবুজ ঘাস সংরক্ষণ (সাইলেজ) প্রযুক্তি সম্প্রসারণ: ঝুরি/ব্যাগ সাইলেজ, হাইব্রিড ভুট্টা চাষাবাদ পদ্ধতি / ভুট্টা গবাদি পশুর প্রধান খাদ্য উপদান, উন্নত জাতের ঘাস চাষ প্রযুক্তি সম্প্রসারণ/উন্নত জাতের ঘাস চাষ, গরুর ইষ্টপুষ্টকরণ প্রযুক্তি। ইউরিয়া মোলাসেস স্ট্র (ইউ এম এস) তৈরির ফর্মুলা, গবাদি পশুর সুষম খাবার তৈরীর উপকরণ ও খাওয়ার নিয়ামাবলী বিষয়ক বিনামূল্যে প্রদান করা হয়। এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ তথ্য দপ্তরের মোবাইল অ্যাপস “মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ তথ্য ভান্ডার” সম্পর্কেও অবগত করা হয়া।
প্রতিবেদনকারী:
খালেক হাসান
কৃষি তথ্য কেন্দ্র সংগঠক
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ তথ্য দপ্তর
আঞ্চলিক অফিস, কুমিল্লা