মো. মেহেদী হাসান (বরিশাল)
দেশে এখনো অনেক তরুণ আছেন যারা পড়াশোনা শেষে চাকরির পেছনে ছুটছেন না। নিজে কিছু করার উদ্যোগ নিচ্ছেন। ঠিক তেমনি একজন উদ্যোক্তা মো. সলেমান হোসেন মুন্না, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনার্স মাস্টার্স শেষ করে বাবার গড়ে তোলা আকাশ এগ্রোফার্ম এন্ড ফিসারিজ এর হাল ধরেন তিনি নিজেই । বরিশাল সদর উপজেলার ৭ নং চরকাউয়া ইউনিয়নে ৩ (তিন) একর জমি নিয়ে এই খামার গড়ে তোলা হয়েছে। প্রথমে ৮ টি গরু দিয়ে খামার ২০১৮ সালে এগ্রোফার্ম এর যাত্রা শুরু করেন। বর্তমানে তার খামারে রয়েছে ৪৫ টি গরু। গরুর খাবার ব্যবস্থাপনার বিষয়ে জানতে চাইলে আামাদের জানান তার খামারের উৎপাদন খরচ কম কারন তারা গরুর খাবারের জন্য বাহিরের ফিডের উপর নির্ভরশীল নয় তার বাবার পতিত জমিতে বৃহৎ পরিসরে গাছ চাষের ব্যবস্থা রয়েছ এখান থেকে গরুর খাবারের যোগান।
খামারের দায়িত্বে থাকা মিজান মিয়া জানান, গোখাদ্য হিসেবে নিজস্ব প্রায় ১০০ শতাংশ জমিতে নেপিয়ার এবং সুইট লেমন জাতের ঘাস চাষ করা হয়েছে। প্রতিদিন শ্রমিকেরা এসব ঘাস কেটে গরুগুলোকে খাওয়ান। পাশাপাশি খড়, খইল, ভুসিসহ বিভিন্ন ধরনের গোখাদ্য দেওয়া হয়। গরুর পাশাপাশি রয়েছে তার কার্প জাতীয় মিশ্র মাছ চাষের ৩ টি পুকুরে কার্প জতীয় মিশ্র চাষ করেন ১ (এক) টি ৬০ শতাংশ ২ (দুই) টি ২৫ শতাংশ করে । পুকুরে মাছের খাবার ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন পুকুরে প্রাকৃতিক খবারের পাশাপাশি বাহির থেকে খাবার প্রদান করেন। সকাল ও বিকেল ২ বেলা মাছের খাবার (ফিড) প্রয়োগ করে থাকেন তার পুকুরে রয়েছে গড়ে ৭-৮ কেজি সাইজের মাছ।
এ বিষয়ে মো. সলেমান হোসেন মুন্না বলেন, ‘আমি শুধু লাভের আশায় গরু এবং মৎস্য খামার তৈরি করিনি। এলাকার বেকার যুবকদের কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে এবং গবেষনার জন্য এ খামার প্রতিষ্ঠা করেছি। সরকারি স্বীকৃতি পেলে আরও অনেক কিছু করার ইচ্ছা আছে। তাঁর খামারে বর্তমানে ৬ জনের কর্মসংস্থানের সুযোগ হয়েছে ।
তাকে মাছের পোনা সংগ্রহের ব্যাপারে সরকারি মৎস্য বীজ উৎপাদন খামার থেকে সুস্থ সবল পোনা সংগ্রহ করে তার পুকুরে অবমুক্ত করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
খামারের দায়িত্বে থাকা সমছু মিয়া জানান, গোখাদ্য হিসেবে নিজস্ব দুই বিঘা জমিতে নেপিয়ার এবং সুইট লেমন জাতের ঘাস চাষ করা হয়েছে। প্রতিদিন শ্রমিকেরা এসব ঘাস কেটে গরুগুলোকে খাওয়ান। পাশাপাশি খড়, খইল, ভুসিসহ বিভিন্ন ধরনের গোখাদ্য দেওয়া হয়।
সবশেষে, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ তথ্য দপ্তর কর্তৃক প্রকাশিত মুদ্রণ সামগ্রীর মধ্যে “সাইজে গোখাদ্য সংকটে সমাধান, উন্নত জাতের ঘাস চাষ, গবাদিপশুর সুষম খাবার তৈরির উপকরণও খাওয়ার নিয়মাবলী, বর্ষা মৌসুমে তাজা ও ভিজা কড় সংরক্ষণ, গরু হৃষ্টপুষ্টকরণ প্রযুক্তি ইউরিয়া মোলাসেস স্ট্র, পুকুরে পাঙ্গাস মাছ চাষ, কালিবাউশ মাছ চাষ, কার্প জাতীয় মিশ্র মাছ চাষ ব্যবস্থাপনার” বিষয়ে বিভিন্ন ধরনের লিফলেট/ফোল্ডার বিনামূল্যে প্রদান করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন অত্র দপ্তরের ২ জন কর্মকর্তা/কর্মচারী জনাব মো. আরাফাত হোসেন, সহকারী তথ্য কর্মকর্তা ও জনাব মো. মেহেদী হাসান, কৃষি তথ্য কেন্দ্র সংগঠক।