ঢাকা,২৫/০৮/২৪ খ্রি.
দেশের ক্রমবর্ধমান জনগোষ্ঠীর খাদ্য নিরাপত্তা ও পুষ্টি চাহিদা পূরণ, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও দারিদ্র বিমোচনে মৎস্যখাদ গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলছে। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদের সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তা, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার, জাতীয় অর্থনীতিতে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতির অবদান, রপ্তানি বৃদ্ধি, কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে দারিদ্র বিমোচন এবং দেশের অর্থ সামাজিক উন্নয়নে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের গুরুত্ব অপরিসীম। চট্টগ্রাম, সিলেট ও খুলনা বিভাগে সাম্প্রতিককালে আকস্মিক বন্যায় ১২টি জেলার ৮৬টি উপজেলা বন্যা কবলিত হয়। স্মরণকালের ভয়াবহ এ বন্যায় জানমালের ক্ষতিসহ মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে ব্যাপক ক্ষতি সাধন হয় । এর ফলে অনেক গবাদিপশুর মৃত্যু এবং ভেসে যাওয়া সহ অবকাঠামোর ব্যাপক ক্ষতি হয়। তাছাড়া গবাদি পশু ও হাঁস মুরগির খাদ্য এবং অন্যান্য পশু খাদ্য বিনষ্ট হয় । এই খাতে এখন পর্যন্ত আনুমানিক ক্ষতি পরিমাণ দুধ ডিম সহ প্রায় ৪শত ১১ কোটি টাকা।
ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে জরুরী পশু খাদ্য সরবরাহ ও বিতরণ, গবাদিপশু ও হাঁস মুরগির রোগ প্রতিরোধ টিকা প্রদান, ঘাসের কাটিং বিতরণ করা হবে।
একইভাবে মৎস্য খাতে ও চট্টগ্রাম, সিলেট ও খুলনা বিভাগে সাম্প্রতিককালে আকস্মিক বন্যায় ১২টি জেলার ৮৬ টি উপজেলা ক্ষতির সম্মুখীন হয়। দিঘি বা খামারের সংখ্যা ১ লক্ষ ৮০ হাজার ৮৯৯টি। ক্ষতিগ্রস্ত মাছ ও চিংড়ির পরিমাণ ৯০ হাজার ৭শত ৬৮ মেট্রিক টন, ক্ষতিগ্রস্ত মাছের পোনা ও চিংড়ির পোস্ট লার্ভা ৩ হাজার ৭শ ৪৬ লক্ষ্যটি। ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ১হাজার ৫৯০ কোটি ৩৬ লক্ষ টাকা। ক্ষতিগ্রস্ত মৎস্যচাষীদের জন্য পুনর্বাসন কার্যক্রম গ্রহণ করা বিশেষ করে সহজ শর্তে ঋণ প্রদান, বন্যার পূর্বাভাস ও সর্তকতা ব্যবস্থা উন্নয়ন, মৎস্যচাষীদের জন্য বন্যা পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য প্রশিক্ষণ ও সচেতনতা কার্যক্রম চালানো, মৎস্য খামারগুলিকে সুরক্ষিত করার জন্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামগত সহায়তা প্রদান এবং মুক্ত জলাশয়ে পুনা অবমুক্ত কার্যক্রমের অব্যায়িত অর্থ পেয়ে বন্যা কবলিত এলাকার চাষীদের মাঝে পোনা বিতরণ করা যেতে পারে।