৪
♦ মাছ প্রোটিনের চমৎকার উৎস, মাছের প্রোটিন সহজে হজমযোগ্য এবং এতে উচ্চমাত্রায় লাইসিন ও সালফারসমৃদ্ধ অ্যামাইনো এসিড যেমন—মিথিওনিন ও সিস্টিন পাওয়া যায়।♦ মাছ ও মাছের তেল ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড, পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি এসিড, ডিএইচএ ও ইপিএ সমৃদ্ধ যেগুলো হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়, মস্তিষ্কের গঠন ও কার্যকারিতা ঠিক রাখে, পাশাপাশি আর্থ্রাইটিসজনিত সমস্যা প্রশমনেও ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড খুব কার্যকর।
ইলিশ মাছ আরজিনিনের ভালো উৎস।♦ ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে। নিয়মিত এই মাছ খেলে পাকস্থলীর আলসার ও কোলিটিসের ঝুঁকি কমে।♦ ত্বক ভালো রাখতে কার্যকর ভূমিকা রাখে।
এতে বিদ্যমান ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড ত্বককে সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে রক্ষা করে এবং নিয়মিত ইলিশ খেলে ত্বকের একজিমা হওয়ার ঝুঁকি কমে যায়। তা ছাড়া এতে বিদ্যমান কোলাজেন ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা বজায় রেখে তারুণ্য ধরে রাখতে সাহায্য করে।♦ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে ইলিশ মাছ। এটি জিংকের ভালো উৎস, যা বর্তমানে অনেক ক্ষেত্রেই কার্যকর বিভিন্ন ভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে।
♦ হার্টের জন্য খুবই ভালো ইলিশ মাছ এবং ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিডের উচ্চমাত্রার ট্রাইগ্লিসারাইড কমিয়ে, রক্তচাপ কমিয়ে এবং রক্ত জমাট বাঁধা কমিয়ে হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য উপকার করে।♦ ভিটামিন-এ-এর উৎস যা দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখতে সাহায্য করে। যারা নিয়মিত এই মাছ খেয়ে থাকে, তাদের রাতকানাজনিত সমস্যা ও বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে চোখের দৃষ্টিশক্তিজনিত সমস্যা হওয়ার ঝুঁকি প্রশমনে সাহায্য করে।
♦ ইলিশ মাছ ক্রোমিয়াম, সেলেনিয়াম, পটাশিয়াম, জিঙ্ক সমৃদ্ধ, যা আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।পরামর্শ দিয়েছেন
♦ ডিপ্রেশন কমাতেও কার্যকর। কিছু স্টাডিতে পাওয়া গেছে শরীরে আরজিনিনের (অ্যামাইনো এসিড) মাত্রা কম থাকলে তাদের মেজর ডিপ্রেশন ডিস-অর্ডার হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়।
♦ জাতীয় কিডনি ফাউন্ডেশনের তথ্য মতে, এই মাছে বিদ্যমান ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড রক্তের চর্বির মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
♦ রক্তসঞ্চালন ক্রিয়া ও রক্তনালি ভালো রাখতে সাহায্য করে।
নাহিদা আহমেদ
পুষ্টিবিদ, ফরাজী হাসপাতাল বারিধারা, ঢাকা
সূত্র: কালের কণ্ঠে