বরিশালের চরকাউয়া ইউনিয়ন এর মো. রাজু বেপারী ছাগলের খামার করে সফল হয়েছেন। শখের বশে ছাগল পালন এখন বাণিজ্যিক রূপ ধারন করেছে। আর্থিক স্বচ্ছলতার করণে বেশিদূর পড়াশোনা করতে না পারলেও ছাগল পালনে তার ভগ্য বদলে গেছে। বর্তমানে ৫ লাখেরও বেশি মূল্যের বড়সড় এক খামারের মালিক তিনি।
জানা যায়, রাজু বেপারী আর্থিক অস্বচ্ছলতার কারণে এসএসসি এর বেশি পড়াশোনা করতে পারেননি। পরে একটি টং এর দোকান করলেও তাতে কোনো লাভ হয়নি। তাই শখের বশে ২টি ছাগল পালন শুরু করেন। বর্তমানে তার খামারে দেশী ছাগলের সংখ্যা ৪৫ টি। তার খামারের পালিত ছাগলের বাজার মূল্য প্রায় ৪ লাখ টাকা।
খামারি রাজু বেপারী বলেন, আমি প্রথম শখের বশে ১০ হাজার টাকা দিয়ে দুটি ছাগল কিনে লালন-পালন শুরু করি। এক বছরের মধ্যে ছাগল দুটি ৬ মাস পর পর দুটি করে মোট ৮টি বাচ্চা দেয়। ছাগলগুলো ৪০ হাজার টাকায় বিক্রি করি। তারপর সিদ্ধান্ত নেই খামার করবো। এরপর উপজেলা প্রাণীসম্পদ অধিদপ্তরের পরামর্শক্রমে ব্লাক বেঙ্গল প্রজাতির ছাগল ক্রয় করে মাচং পদ্ধতিতে খামার গড়ে তুলি। এখন আমার খামারে ৪৫ টি ছাগল রয়েছে।
তিনি আরো বলেন, বাড়ির পাশে ঘাসের চাষ করেছি। ছাগলগুলো সেই ঘাস খেয়েই বড় হয়। এছাড়াও গম, ভুট্টা ও ছোলা বুটের গুড়ো সেই সাথে সয়াবিন ও খড়ের ছানি। যা ছাগলের জন্য খুবই পুষ্টিকর। ছাগলের রোগ বালাইও কম। বছরে একবার পিপিআর, গডপক্স ভ্যাকসিন দিলেই কোন প্রকার ওষধ লাগেনা। তাই অল্প খরচে বেশী আয় করা সম্ভব।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. প্রদীপ কুমার বিশ্বাস বলেন, ছাগলের খামার করে রাজু বেপারী সফল হয়েছে। আমরা নিয়মিত ওই ছাগলের খামারে প্রয়োজনী ঔষধ ও পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি।