বরিশাল সদর চরকাউয়া ইউনিয়নের কর্ণকাঠী গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দা মো. জাহাঙ্গীর হোসেন অব: সেনা কর্মকর্তা । পরিবারে দুই ছেলে, এক মেয়ে এবং স্ত্রী আছেন। ছেলেমেয়েরা সবাই স্কুল-কলেজে পড়াশোনা করছে। সংসারের এবং ছেলেমেয়েদের পড়াশোনা অতিরিক্ত ব্যয় সামাল দিতে ও নিজের শখপূরনের লক্ষ্য স্বল্প পরিসরে গবাদিপশু লালন পালন করেন। পারিবারিকভাবে গবাদি পশুর মধ্যে রয়েছে শাহীওয়াল ০২টি, জার্সি ০৩টি, ফ্রিজিয়ান জাতের ০২টি এর সাথে কিছু হাঁস ও ব্রয়লার মুরগি পালন করেন।
মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, আমি সংসারের আয় বাড়ানোর পাশাপাশি অবসর সময় কাটানোর জন্য স্বল্প পরিসরে পশু ও প্রাণী পালনে আগ্রহী হই। বিশেষ করে অামার ব্রয়লার এর প্রতি অাগ্রহ বেশি থাকায় বাড়ির ছাদে শুরু করেছি এখন পর্যন্ত ভালোই লাভবান হয়েছি এবং সময় টাও পার করতে পারি এবং এর পাশাপাশি গবাদি পশু ও রয়েছে গবাদি পশুর দেখা দেখাশোনা কে করে এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আমি ও আমার সহধর্মিনী দেখাশোনা করি। এসব কাজ করতে অতিরিক্ত লোকের প্রয়োজন নেই বলে মনে করেন। তিনি আরোও বলেন, গবাদি পশুকে দৈনিক খাবার হিসেবে চাউলের কুড়া, ছোলা, ভুট্টা, ভুসি ও নিজের জমিতে লাগানো নিয়মিত কাঁচা ঘাস খাওয়ান। তিনি প্রতিবছর কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে এসব গবাদি পশু বিক্রি করে থাকেন। পুনরায় পালনের জন্য স্থানীয় গরুর হাট থেকে পশু কিনে পালন করেন। এবং পরিবারের পুষ্টি চাহিদার কথা চিন্তা করে গবাদি পশুর মধ্যে এক থেকে দুইটি গাভী রাখেন বর্তমানে একটি গাভী প্রতিদিন ৫ লিটার করে দুধ দিয়ে থাকে প্রয়োজন মাফিক রেখে বাকি দুধ বাজারে বিক্রি করে দেন।
গবাদি পশুর লালন পালনে কোন সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন কিনা প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, গবাদি পশুর ক্ষুরা, পাতলা পায়খানা, বদহজম, চোখ গুলা হয় আর এসব রোগ দেখা দিলে আমি নিজেই পরিচর্যার ব্যবস্থা করি। প্রাণিসম্পদ অফিসের সাথে যোগাযোগ অথবা প্রশিক্ষণ আছে কিনা জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন যোগাযোগ আছে । এর পরে তাকে জনাব শাহরিয়ার হোসেন প্রাণিসম্পদ অফিসের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা ও সেবা সম্পর্কে অভিহিত করা হয় এবং নিকটতম প্রাণিসম্পদ অফিসে যোগাযোগ স্থাপন করে গবাদিপশু লালন পালনের জন্য প্রশিক্ষণ নিতে বলা হয়। সবশেষে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ তথ্য দপ্তর কর্তৃক প্রকাশিত মুদ্রণ সামগ্রী মধ্যে গবাদিপশুর ক্ষুরারোগ, গ্রামীন পরিবেশে হাঁস পালন, গ্রামীন পরিবেশে ছাগল পালন, কবুতর পালন, টার্কি পালন বিষয়ক মুদ্রণ সামগ্রী বিনামূল্যে প্রদান করা হয় এসাথে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ তথ্য দপ্তরের মোবাইল অ্যাপ “মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ তথ্য ভান্ডার” সম্পর্কেও অবগত করা হয়।
খামার পরিদর্শন : জনাব শাহরিয়ার হোসেন ও হাসিবুর রহমান