বরিশাল সদর চরকাউয়া ইউনিয়নের কর্ণকাঠী গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দা মো.আনিছ সরদার । পরিবারে তিন ছেলে, দুই মেয়ে এবং স্ত্রী আছেন। পরিবারের অভাব দূর করতে তিনি ও তার ছেলে উদ্দ্যোক্তা হওয়ার চিন্তা করলেন। সেই থেকে তিনি ২ টা গরু দিয়ে খামার করা শুরু করলেন। আস্তে আস্তে তিনি সাবলম্বি হতে শুরু করেন। এখন তার খামারে একাধিক গরু আছে। তিনি আরও জানান বিভিন্ন বিদেশি জাতের ও গরু আছে তার খামারে।
মো.আনিছ সরদার সংসারের আয় বাড়ানোর পাশাপাশি এলাকার বেকারদের কর্মসংস্থান তৈরি করেছে।। এসব কাজ করতে তিনি আরোও বলেন, গবাদি পশুকে দৈনিক খাবার হিসেবে চাউলের কুড়া, ছোলা, ভুট্টা, ভুসি ও নিজের জমিতে লাগানো নিয়মিত কাঁচা ঘাস খাওয়ান। তিনি প্রতিবছর কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে এসব গবাদি পশু বিক্রি করে থাকেন। পুনরায় পালনের জন্য স্থানীয় গরুর হাট থেকে পশু কিনে পালন করেন। এবং পরিবারের পুষ্টি চাহিদার কথা চিন্তা করে গবাদি পশুর মধ্যে এক থেকে দুইটি গাভী রাখেন বর্তমানে একটি গাভী প্রতিদিন ৫ লিটার করে দুধ দিয়ে থাকে প্রয়োজন মাফিক রেখে বাকি দুধ বাজারে বিক্রি করে দেন।
গবাদি পশুর লালন পালনে কোন সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন কিনা প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, গবাদি পশুর ক্ষুরা, পাতলা পায়খানা, বদহজম, চোখ গুলা হয় আর এসব রোগ দেখা দিলে আমি নিজেই পরিচর্যার ব্যবস্থা করি। প্রাণিসম্পদ অফিসের সাথে যোগাযোগ অথবা প্রশিক্ষণ আছে কিনা জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন যোগাযোগ আছে । এর পরে তাকে জনাব মো.মেহেদী হাসান প্রাণিসম্পদ অফিসের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা ও সেবা সম্পর্কে অভিহিত করা হয় এবং নিকটতম প্রাণিসম্পদ অফিসে যোগাযোগ স্থাপন করে গবাদিপশু লালন পালনের জন্য প্রশিক্ষণ নিতে বলা হয়। সবশেষে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ তথ্য দপ্তর কর্তৃক প্রকাশিত মুদ্রণ সামগ্রী মধ্যে গবাদিপশুর ক্ষুরারোগ, গ্রামীন পরিবেশে হাঁস পালন, গ্রামীন পরিবেশে ছাগল পালন, কবুতর পালন, টার্কি পালন বিষয়ক মুদ্রণ সামগ্রী বিনামূল্যে প্রদান করা হয় এসাথে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ তথ্য দপ্তরের মোবাইল অ্যাপ “মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ তথ্য ভান্ডার” সম্পর্কেও অবগত করা হয়।
খামার পরিদর্শন করেন :মো.মেহেদী হাসান (কৃষি তথ্য কেন্দ্র সংগঠক) ও হাসিবুর রহমান (অডিও ভিজ্যুয়াল ইউনিট অপারেটর)