কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ উপজেলার বড় ধর্মপুরের এম. এ. হান্নান। পেশায় একজন ব্যবসায়ী। ব্যবসার পাশাপাশি শখের বসে ২০২১ সালে ৮০ টি গরু দিয়ে একতা এগ্রো ফার্ম শুরু করেন।
৮০ টি গরুর মধ্যে ছিলো দুগ্ধবতী গাভী ৭ টি, শুষ্ক গাভী ১১ টি, বকনা ৮ টি, ষাড় ১৬ টি, বকনা বাছুর ৯ টি, এড়ে বাছুর ৭ টি। বর্তমানে তার খামারে হলেস্টাইন ফ্রিজিয়ান, শাহীওয়াল, জার্সি ও রেড চিটাগং জাতের গরু রয়েছে। তিনি প্রতিদিন ঐ গাভী গুলো থেকে প্রায় ৪০ লিটার দুধ সংগ্রহ করেন। পাইকারিভাবে স্থানীয় বেপারির মাধ্যমে ৫৩ টাকা দরে দুধ বিক্রি করেন। এম. এ. হান্নানের খামারে খাদ্য ব্যবস্থাপনার জন্য তিনি দানাদার খাদ্য ও কাঁচাঘাস খাওয়ান। কাঁচাঘাসের জন্য ১২০ শতক জায়গায় নেপিয়ার ও নেপিয়ার পাকচং ঘাসের চাষ করেন। শীতকালে তিনি খড় খাওয়ান।
এম. এ. হান্নান বলেন, তার খামারের গরু ধারণ ক্ষমতা ১২০ টি। তিনি সেগুলো শেড আকারে করেছেন। সপ্তাহে ২ দিন শেডের ফ্লোর ব্লিচিং পাউডার ও পটাসিয়াম পার ম্যাঙ্গানেট দিয়ে পরিষ্কার করেন। তার খামারে উৎপাদিত গোবর স্থানীয় জৈব সার কারখানায় বিক্রিয় করেন। ২০২৪ সালে কুরবানীর ঈদে এম. এ. হান্নান তার খামার থেকে ১৬ টি গরু বিক্রি করেছেন।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সর্ম্পকে জানতে চাইলে তিনি বলেন, খামারে উৎপাদিত গোবর দিয়ে বায়োগ্যাস ও দুধ দিয়ে দুগ্ধজাত খাবার তৈরির করবেন বলে আমাদের জানান।
খামার পরিচালনায় উদ্ধৃত্ত সমস্যা সমাধানের জন্য এম. এ. হান্নানের রয়েছে প্রশিক্ষিত জনবল। খামারে দেখাশোনার জন্য রয়েছে ৪ জন কর্মচারী।
সবশেষে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ তথ্য দপ্তর থেকে তাকে প্রাণিসম্পদ বিষয়ক বিভিন্ন লিফলেট প্রদান করা হয় এসাথে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ তথ্য দপ্তরের পরিচিতি দেয়া হয় । পাশাপাশি “মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ তথ্য ভান্ডার”“এ্যাপস” “নিউজ পোর্টাল”ও “পেইজ ” সম্পর্কে ও অবহিত করা হয়।
প্রতিবেদনকারী: তারিখ: ১১.০৮.২০২৪ খ্রি.।
সুরাইয়া আক্তার
কৃষি তথ্য কেন্দ্র সংগঠক
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ তথ্য দপ্তর
আঞ্চলিক অফিস, কুমিল্লা