হাজী আবুল হোসেন ১৯৬৭ সালে কুমিল্লা জেলার আর্দশ সদর উপজেলার সুয়ারা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। পারিবারিক অভাব অনটনের কারণে বেশি পড়াশোনা করতে পারেননি মাত্র ৫ম শ্রেনী পর্যন্ত পড়াশোনা করেন। হাজী আবুল হোসেন ছোটবেলা থেকেই চাইতেন তিনি বড় হয়ে যে কোনো পন্যের উৎপাদনকারী হবেন। তাই তিনি ১৯৯৭ সালে নিজস্ব মালিকানাধীন মাত্র ১ টি পুকুরে ১০,০০০ টাকা মুলধন দিয়ে মাছচাষ শুরু করেন। বর্তমানে কুমিল্লা সদর,বুড়িচং ও চৌদ্দগ্রাম এলাকায় মিলে তার চাষকৃত পুকুরের সংখ্যা ২৫-২৮ টি রয়েছে। এরমধ্যে পুকুরের সর্বোচ্চ আয়তন ৬৮০ শতক এবং সর্বনিম্ন ১২০ শতক।
হাজী আবুল হোসেন বলেন, মাছের জন্য পুকুর প্রস্তুতি থেকে শুরু করে মাছ বিক্রি করা পর্যন্ত প্রতিটি ধাপ অত্যান্ত মনোযোগ সহকারে করতে হবে, না হলে মাছ চাষে সফল পাওয়া যাবেনা। মাছ চাষের জন্য পুকুরের পানির তাপমাত্র, অক্সিজেন, গ্যাস এই তিনটা বিষয় যাথাযথ মাত্রায় আছে কিনা পরীক্ষা করতে হবে। হাজী আবুল হোসেন ২৫০ গ্রাম ওজনের প্রতি শতকে ১০-১৫ টি করে পোনা ছাড়েন। পোনা ছাড়ার ১৫ দিন পর তিনি জালবেড় দিয়ে মাছের স্বাস্থ্য পর্যবেক্ষণ করেন। মাছের সুষম খাদ্য ব্যবস্থাপনার জন্য বাজারের নারিশ ভাসমান ও ডুবন্ত ফিড ব্যবহার করেন। তিনি বলেন, কোনভাবে পুকুরে অতিরিক্ত খাদ্য প্রয়োগ করা যাবে না। অতিরিক্ত খাদ্য প্রয়োগের কারণে একদিকে যেমন উৎপাদন খরচ বৃদ্ধিপায় অন্যদিকে পুকুরের পরিবেশ নষ্ট হয়। তাই তিনি মাছের দেহের ওজন অনুসারে খাদ্য প্রদান করেন।
মাছ চাষে উদ্ধৃত্ত সমস্যা সমাধানে বয়েছে প্রশিক্ষিত জনবল। তাছাড়া তিনি প্রতি বছর শীত আসার আগে প্রতি শতকে ৫০০ গ্রাম করে চুন ও লবন প্রয়োগ করে থাকেন।
মাছ বাজারজাত করার ক্ষেত্রে হাজী আবুল হোসেন প্রতিদিন ৪৫০ কেজি মাছ আড়তে বিক্রি করে থাকেন।
মাছ চাষ বিষয়ক প্রশিক্ষণ নিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কোন ধরনের প্রশিক্ষণ নেয় নি, এ সময় হাজী আবুল হোসেনকে মাছ চাষ বিষয়ক প্রশিক্ষণ গ্রহণ করার জন্য সংশ্লিষ্ট মৎস্য অফিসে যোগাযোগ করার জন্য পরামর্শ দেয়া হয়। উল্লখ্য যে হাজী আবুল হোসেন সফল মাছ চাষী হিসাবে জেলা পর্যায়ে ০২ বার ও উপজেলা পর্যায়ে ০২ বার সফল খামারীর পদক লাভ করেন।
সবশেষে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ তথ্য দপ্তর থেকে তাকে মৎস্য বিষয়ক বিভিন্ন লিফলেট প্রদান করা হয় এসাথে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ তথ্য দপ্তরের পরিচিতি দেয়া হয় । পাশাপাশি “মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ তথ্য ভান্ডার”“এ্যাপস” “নিউজ পোর্টাল”ও “পেইজ ” সম্পর্কে ও অবহিত করা হয়।
প্রতিবেদনকারী : তারিখ : ১২.০৯.২০২৪ খ্রি.
সুরাইয়া আক্তার
কৃষি তথ্য কেন্দ্র সংগঠক
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ তথ্য দপ্তর
আঞ্চলিক অফিস, কুমিল্লা