কুমিল্লা জেরার আর্দশ সদর উপজেলার ভাটপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন মো: জাহিদ হোসেন। তিনি কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া স্কুল এন্ড কলেজ থেকে এস.এস.সি পাশ করেন। ১৯৮৮ সালে মো: জাহিদ ও তার মা জোৎসনারা আক্তার মিলে নিজ বাড়িতে প্রথমে ৫০টি লেয়ার মুরগীর ডিম এনে দেশী মুরগির মাধ্যমে তা দিয়ে বাঁচ্চা ফুটান। ৫০ টি ডিমের মধ্যে থেকে ৪৫ টি মুরগির ডিম ফুটে বাঁচ্চা হয়। এর মধ্যে ০২ টি হলো মোরগ বাকি গুলো হলো মুরগি। ৪৫ টি মুরগীর জন্য তারা নিজ বাড়িতে প্রথমে একটি ছোট মুরগির শেড তৈরি করে লেয়ার মুরগি পালন শুরু করেন। এরপর আর তাদের পেছন ফিরে দেখতে হয়নি।
বর্তমানে তার দুটি ভালো মানের মুরগির শেড রয়েছে এবং ছোট-বড় মিলিয়ে ২ হাজার ৬০০ শত মুরগি রয়েছে যা থেকে তিনি দৈনিক প্রায় দুই হাজার দুইশত ডিম পেয়ে থাকেন।
জোৎসনাআর আক্তার ও তার ছেলে জাহিদ বলেন অনেক দিনের ইচ্ছা ও মনোবল থাকায় আমারা নিজ উদ্যোগে পারিবারিক পর্যায়ে নিজ জমিতে মুরগি পালন শুরু করি এবং স্বাবলম্বী হয়েছি। বর্তমানে প্রতি মাসে ৫০-৬০ হাজার টাকা উপার্জন করতে পারেন বলে আমাদের জানান ।
বর্তমানে তাহার খামারে প্রতিদিন ০২ জন লোক কাজ করছেন। তারা প্রতিদিন দুপুর বেলা শেড থেকে ডিম সংগ্রহ করেন ও মুরগির খাবার সরবারহ করেন। এসব ডিম ক্রয়ে জেলা উপজেলা থেকে ছুটে আসছেন পাইকার/খুচরা ক্রেতারা। তার সফলতা দেখে উদ্যোগী হচ্ছেন আশেপাশের অনেকে।
তিনি বলেন, আমি শুরুতে পারিবারিক পর্যায়ে শুরু করলে আমার ছেলে রোটারী থেকে তিন মাসের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে বানিজ্যিক ভাবে খামার শুরু করি। নিজের পুঁজির পাশাপাশি ব্যাংক থেকে ২০ লক্ষ টাকা ঋণ নেই। তার সফলতার পাশাপাশি অন্যান্য নারীরাও উদ্যোক্তা হওয়ার শক্তি পেয়েছেন।
সবশেষে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ তথ্য দপ্তর থেকে তাকে প্রাণিসম্পদ বিষয়ক বিভিন্ন লিফলেট প্রদান করা হয় এসাথে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ তথ্য দপ্তরের পরিচিতি দেয়া হয় । পাশাপাশি “মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ তথ্য ভান্ডার”“এ্যাপস” “নিউজ পোর্টাল”ও “পেইজ ” সম্পর্কে ও অবহিত করা হয়।
প্রতিবেদনকারী : তরিখ : ১১.০৯.২০২৪ খ্রি.
সুরাইয়া আক্তার
কৃষি তথ্য কেন্দ্র সংগঠক
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ তথ্য দপ্তর
আঞ্চলিক অফিস, কুমিল্লা