অদ্য ১৭.০৯.২০২৪ খ্রি.
কুমিল্লার সদর দক্ষিণ উপজেলার শাকতলা গ্রামের সুমি আক্তার। ৫ সদস্যের পরিবারে আর্থিক স্বচ্ছলতা পেতে ২০২০ সাল থেকে ০৪ বছর যাবত গবাদিপশু পালন করে আসছেন। তিনি বলেন, আমার স্বামী দৈনিক হাজিরা অন্যের বাড়িতে কাজ করেন তার উপার্জিত টাকায় পরিবার চালাতে মুশকিল হয়ে যাচ্ছিল। তাই নিজেই গবাদি পশুর লালন-পালনে কথা চিন্তা করি। আমার খামারটিতে এই মুহূর্তে দেশী জাতের দুটি গাভী ও দুটি বাছুর আছে। এবং স্বল্প পরিমাণে হাঁস-মুরগি পালন করি। প্রতি গাভী দৈনিক ৩ লিটার করে মোট ছয় থেকে সাত লিটার দুধ দেয়। এইসব দুধ চাহিদা মাফিক আশপাশের বাসাবাড়ী, চায়ের দোকান বিক্রি করি এবং কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে একটা বা দুইটা গবাদিপশু প্রতি বছর বিক্রি করি ৭০ হাজার থেকে ৯০ হাজার টাকার মধ্যে। যা আমাকে আর্থিক স্বচ্ছলতা সহ নিজেকে স্বাবলম্বী করেছে।
এসব গবাদি পশুর দেখাশোনা, রোগ, চিকিৎসা, এবং আয়-ব্যয় সম্পর্কে প্রশ্ন করলে সুমি আক্তার বলেন, এসব গবাদি পশু আমি ও আমার স্বামী দুইজনেই দেখাশোনা করি। আমার খামারটিতে এখন পর্যন্ত ওলান ফুলা রোগ, ক্ষুরা রোগ, কান পাকা উপসর্গ দেখা দিয়েছে ও এ পর্যন্ত দুটি গাভী ডেলিভারিতে সফল না হওয়াতে মারা গিয়েছে। চিকিৎসার জন্য নিকটস্থ উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসে যোগাযোগ করলে তারা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়ে থাকেন কিন্তু তাদের থেকে কোন সেবা বিনামূল্যে পায়নি। সুমি আক্তার আরো বলেন, গবাদি পশুর খাবার কিনতে ও চিকিৎসার জন্য ওষুধ ক্রয় এবং অন্যান্য খরচ সব মিলে মাসে অন্তত ৮-৯ হাজার টাকা যা বছর শেষে এক লক্ষ টাকা কাছাকাছি খরচ হয়। আর দৈনিক দুধ বিক্রি ও বছর শেষে গবাদি পশু বিক্রি করে ৮০ থেকে ৯০ হাজার টাকা লাভ থাকে।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ তথ্য দপ্তর, আঞ্চলিক অফিস কুমিল্লার পক্ষ থেকে সুমি আক্তার কে তার এই উদ্যোগগকে উৎসাহিত জানিয়ে মৎস্য প্রাণিসম্পদ তথ্য দপ্তর কর্তৃক প্রকাশিত মুদ্রণ সামগ্রীর মধ্যে সাইলেজ। গোখাদ্য সংকটে সমাধান। মাহষ পালন, ছাগল পালন, গ্রামীণ পরিবেশে হাস পালন, বর্ষা মৌসুমে তাজা ও ভিজা খড় সংরক্ষণ/সবুজ ঘাস সংরক্ষণ (সাইলেজ) প্রযুক্তি সম্প্রসারণ কুরি/ব্যাগ সাইলেজ, হাইব্রিড ভুট্টা চাষাবাদ পদ্ধতি / ভুট্টা গবাদি পশুর প্রধান খাদ্য উপদান, উন্নত জাতের ঘাস চাষ প্রযুক্তি সম্প্রসারণ উন্নত জাতের ঘাস চাষ, গরুর হৃষ্টকরণ প্রযুক্তি। ইউরিয়া মোলাসেস (ইউএমএস) তৈরির ফর্মুলা, গবাদি পশুর সুষম খাবার তৈরীর উপকরণ ও খাওয়ার নিয়মাবলী বিষয়ক বিনামূল্যে প্রদান করা হয়। এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ তথ্য দপ্তরের মোবাইল এপস ‘মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ তথ্য ভান্ডারা সম্পর্কে অবগত করা হয়।
প্রতিবেদনকারী।
খালেক হাসান
কৃষি তথ্য কেন্দ্র সংগঠক
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ তথ্য দপ্তর
আঞ্চলিক অফিস,কুমিল্লা