কুমিল্লা, ১৯.০৯.২০২৪ খ্রি.
কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার বিবির বাজার, শাহপুর গ্রামের জনাব আবু সাঈদ (প্রবাসী) ও তার বন্ধু শরীফ মাহমুদ (চাকরিজীবী) শখের বসে ১৫ বছর আগে ২০০৮ সালে বশির এগ্রো ফার্ম গড়ে তোলেন। তাদের এই ফার্মে বর্তমানে দুইজন কর্মচারী মাসিক ১৫ হাজার টাকায় নিয়মিত কাজ করেন। বর্তমানে ফার্মটিতে ফ্রিজিয়ান জাতের ০৩টি, শাহীওয়াল জাতের ০৮টি, দেশি জাতের ০৯টি গবাদিপশু বিদ্যমান আছে। এবং কোরবানি ঈদকে লক্ষ্য করে প্রায় অধিকাংশ গবাদি পশু বিক্রির উপযোগী করা হয়। গেল কোরবানি ঈদে ৯০ লক্ষ টাকার গবাদিপশু বিক্রি করা হয়েছে। জনাব আবু সাঈদ বলেন , বশির এগ্রো ফার্ম ছাড়াও এই ফার্মের মুনাফা দিয়ে ব্যক্তিগতভাবে আরেকটি গবাদিপশুর ফার্ম করেছি। এবং ভবিষ্যতে বাণিজ্যিকভাবে ডেইরি ফার্ম করার ইচ্ছে আছে।
বশির এগ্রো ফার্মের প্রতিনিধির সাথে আলোচনা সময় তাকে গবাদি পশুর খাবার, চিকিৎসা এবং ফার্মটি পরিচালনা করতে বছরে কি পরিমাণ আয়-ব্যয় হয় সে সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, আমার এই ফার্মটিতে খাদ্য উপাদান হিসেবে গমের ভুসি, চাউলের কুড়া, ফিড ও নিজস্ব জমিতে চাষ করা কাঁচা ঘাস দিয়ে থাকি এবং গবাদি পশুর রোগের মধ্যে এখন পর্যন্ত লাম্পি স্কিন ডিজিজ, ক্ষুরা রোগ, তাড়কা রোগ বেশি দেখা দিয়েছে। আমার এই ফার্মটি পরিচালনা করতে বছরে প্রায় ৮০ লক্ষ টাকা বা একটু বেশি খরচ হয়ে থাকে। এবং বছর শেষে কোরবানি ঈদে গবাদি পশু বিক্রি করে ০১ কোটি টাকা থেকে ০১ কোটি ৩০ লাখ টাকা মধ্যে এসব গবাদি পশু বিক্রি সম্ভব হয়। এতে বছরে প্রত্যেকের ১০ থেকে ১৫ লক্ষ টাকা লাভ থাকে।
নিকটস্থ প্রাণিসম্পদ অফিসের সাথে যোগাযোগ আছে কিনা প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, গবাদি পশুর চিকিৎসায় বা কোন সমস্যা হলে আমরা নিজেরাই ইউটিউব দেখে চিকিৎসা করে থাকি এবং গুরুতর অসুস্থ দেখা দিলে স্থানীয় চিকিৎসক দ্বারা ব্যবস্থা গ্রহণ করি। এমতবস্থায় গবাদিপশু লালন-পালনে বশির এগ্রো ফার্মের প্রতিনিধি জনাব আবু সাঈদকে কে নিকটতম প্রাণিসম্পদ অফিসে যোগাযোগ রাখতে বলা হয় এবং সরকার কর্তৃক যেকোনো সুযোগ সুবিধা নিতে বলা হয়।
সবশেষে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ তথ্য দপ্তর কর্তৃক প্রকাশিত মুদ্রণ সামগ্রী মধ্যে সাইলেজ (গোখাদ্য সংকটে সমাধান), মহিষ পালন, ছাগল পালন, তড়কা (এনঘ্রাক্স) রোগ করণীয়, গ্রামীণ পরিবেশে হাস পালন, বর্ষা মৌসুমে তাজা ও ভিজা খড় সংরক্ষণ/সবুজ ঘাস সংরক্ষণ (সাইলেজ) প্রযুক্তি সম্প্রসারণ। বুরি/ব্যাগ সাইলেজ, হাইব্রিড ভুট্টা চাষাবাদ পদ্ধতি / ভুট্টা: গবাদি পশুর প্রধান খাদ্য উপদান, উন্নত জাতের ঘাস চাষ প্রযুক্তি সম্প্রসারণ /উন্নত জাতের ঘাস চাষ, গরুর ইষ্টপুষ্টকরণ প্রযুক্তি। ইউরিযা মোলাসেস স্ট্র (ইউ এম এস) তৈরির ফর্মুলা, গবাদি পশুর সুষম খাবার তৈরীর উপকরণ ও খাওয়ার নিয়মাবলী বিষয়ক বিনামূল্যে প্রদান করা হয়। এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ তথ্য দপ্তরের মোবাইল অ্যাপস ‘মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ তথ্য ভান্ডার” সম্পর্কেও অবগত করা হয়।
প্রতিবেদনকারী।
খালেক হাসান, কৃষি তথা কেন্দ্র সংগঠক
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ তথ্য দপ্তর, কুমিল্লা