০৫/০৯//২০২৪ খ্রি.
ঢাকা জেলার, কামরাঙ্গীরচর থানার, হালিমা বেগম পেশায় একজন গৃহিনী। পাশাপাশি শুরু করেন গবাদিপশুর খামার। ২০২৩ সালের জুন মাসে ২ টি বকনা গরু দিয়ে খামার শুরু করেন। বর্তমানে তার খামারে ১০ টি গরু আছে। হালিমা বলেন , কুরবানির সময় তার খামার থেকে ২ টি ষাঁড় গরু বিক্রি করেন যা থেকে তার ১,০০,০০০ টাকা লাভ হয়।
খাবার ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে হালিমা বেগম বলেন ১৫ শতকের জমিতে উন্নত মানের ঘাস চাষ করেন এবং ভূট্টা ঘাষ চাষ করে সাইলেজ তৈরি করেন। ঘাস খাওয়ার পাশাপাশি তিনি দানাদার খাদ্য হিসাবে গমের ভূষি , ফিড ,ভূট্টার গুড়া ,খৈল খাওয়ানো হয়।
খামার বাসস্থান সম্পর্কে হালিমা বেগম বলেন , প্রতিদিন পরিষ্কার করা হয় এবং ৫ দিন পর পর পরিষ্কার পানি ও জীবানুনাশক দিয়ে ভালো ভাবে পরিষ্কার করা হয়। বর্তমানে হালিমা এবং তার ছেলে নিয়মিত গবাদিপশুকে খাবার দেওয়া ,পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা সহ সকল কাজ করে থাকেন।
প্রাণিসম্পদ বিষয়ক কোন প্রশিক্ষণ করেছেন কিনা সে বিষয়ে জানতে চাইলে হালিমা বলেন , যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর থেকে ৩ মাসের প্রশিক্ষণ করেছেন। তিনি আরো জানান , গবাদিপশুর রোগ দেখা দিলে উপজেলা প্রাণিস্পদ অফিসে যোগাযোগ করেন এবং প্রাণিস্পদ অফিস বিভিন্ন সহযোগিতা করেন।
পরিশেষে ,মৎস্য ও প্রাণিসম্প তথ্য দপ্তর , আঞ্চলিক অফিস ,ঢাকা থেকে হালিমা বেগমকে গরু পালনের সুষ্ঠু পরামর্শ সহ গাভী পালন ,ছাগল পালন , মহিষ পালন,সাইলেজ গোখাদ্য সংকটে সমাধান, সবুজ ঘাস সংরক্ষন প্রযুক্তি সম্প্রসারণ ,গবাদি পশুর সুষম খাদ্য তৈরীর উপকরণ ও খাওয়ানোর নিয়মাবলী ,উন্নত জাতের ঘাস চাষ বিষয়ক লিফলেট ও ফোল্ডার প্রদান করা হয়।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ তথ্য দপ্তর ,আঞ্চলিক অফিস ,ঢাকা থেকে ২ জন কর্মচারী খামারটি পরিদর্শন করেন। পরিদর্শন কালে খামারিকে পরামর্শ প্রদান করেন মো. খাদেমুল ইসলাম , কৃষি তথ্য কেন্দ্র সংগঠক , এবং খামারির ছবি ও ভিডিও ধারণ করেন মো.সামিউল ইসলাম ,অডিও ভিজ্যুয়াল ইউনিট অপাটের ।
প্রতিবেদনকারী
(মো. খাদেমুল ইসলাম )
কৃষি তথ্য কেন্দ্র সংগঠক
মৎস্য ও প্রাণিসম্প তথ্য দপ্তর ,
আঞ্চলিক অফিস ,ঢাকা ।