১৮/০৯//২০২৪ খ্রি.
ঢাকা জেলার, সাভার উপজেলার, ইয়ারপুর ইউনিয়নের শাকিল সরকার কাতার প্রবাসী ছিলেন । ৫ বছর প্রবাসে থাকার পর বাংলাদেশে এসে গড়ে তুলেন গবাদিপশুর খামার । প্রথম দিকে ৩টি গরু দিয়ে ২০২১ সালে খামার শুরু করেন।বর্তমানে তার খামারে ৯টি ষাঁড় গরু ও ৪টি বকনা গরু আছে। শাকিল বলেন, কুরবানির সময় তার খামার থেকে ৪টি গরু বিক্রি করেন যা থেকে তার ২,০০,০০০ টাকা লাভ হয়।
খাবার ব্যবস্থাপনা সর্ম্পকে শাকিল বলেন , ২০ শতাংশ জমিতে উন্নত মানের ঘাস করেন নেপিয়ার ,জাম্বু,পারা ,ভূট্রা ঘাস চাষ করে সাইলেজ তৈরী করেন। ঘাস খাওয়ার পাশা পাশি তিনি দানাদার খাদ্য হিসাবে গমের ভূষি, ফিড, ভূট্রার গুড়া, খৈল, খাওয়ানো হয়।
খামার বাসস্থান সর্ম্পকে শাকিল বলেন , প্রতিদিন পরিস্কার করা হয় এবং ৫ দিন পর পর পরিস্কার পানি ও জীবানুনাশক দিয়ে ভালো ভাবে পরিস্কার করা হয়। বর্তমানে শাকিল সহ ২জন কর্মচারী নিয়মিত গবাদি পশুকে খাবার দেওয়া ,পরিস্কার পরিছন্নতা সহ সকল কাজ করে থাকেন।
গবাদিপশুর টিকা সর্ম্পকে শাকিল বলেন ৪ মাস এবং ৬ মাস পরপর ক্ষুরা রোগ,ও বাদলা রোগের টিকা প্রদান করেন। ১ বছর পর তড়কা ও গলাফুলা রোগের টিকা প্রদান করেন।
প্রাণিসম্পদ বিষয়ক কোন প্রশিক্ষন করেছেন কিনা সে বিষয়ে জানতে চাইলে শাকিল বলেন যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর থেকে ৩ মাস মেয়াদি প্রশিক্ষন করেছেন। তিনি আরো জানান গবাদিপশুর যেকোন রোগ দেখা দিলে উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসে যোগাযোগ করেন এবং প্রাণিসম্পদ অফিস বিভিন্ন সহযোগীতা করেন ।
সবশেষে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ তথ্য দপ্তর ,আঞ্চিক অফিস ঢাকা থেকে গাভী পালন, বিজ্ঞানসম্মত পদ্বতিতে গরু হৃষ্টপুষ্টকরণ, মহিষ পালন,সাইলেজ গোখাদ্য সংকটে সমাধান , ছাগল পালন, সবুজ ঘাস সংরক্ষণ প্রযুক্তি সম্প্রসারণ, গবাদিপশুর সুষম খাবার তৈরীর উপকরণ ও খাওয়ার নিয়মাবলী বিষয়ক লিফলেট, ফোল্ডার ও পরামর্শ প্রদান করা হয়।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ তথ্য দপ্তর ,আঞ্চলিক অফিস ,ঢাকা থেকে ২ জন কর্মচারী খামারটি পরিদর্শন করেন। পরিদর্শন কালে খামারিকে পরামর্শ প্রদান করেন মো. খাদেমুল ইসলাম , কৃষি তথ্য কেন্দ্র সংগঠক , এবং খামারির ছবি ও ভিডিও ধারণ করেন মো.সামিউল ইসলাম ,অডিও ভিজ্যুয়াল ইউনিট অপাটের ।
প্রতিবেদনকারী
মো. খাদেমুল ইসলাম
কৃষি তথ্য কেন্দ্র সংগঠক
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ তথ্য দপ্তর
আঞ্চলিক অফিস, ঢাকা।