তারিখ: ৩০.০৯.২০২৪
মানিকগঞ্জ জেলার সিংগাইর উপজেলার কাস্তা গ্রামের উদ্যোক্তা ফজলুর রহমান। পেশায় তিনি একজন প্রবাসী। দীর্ঘদিন প্রবাসে জীবনযাপন করে ছুটিতে দেশে এসে বাবার স্বপ্ন পূরণে খামার গড়েন তিনি। তাহার খামারটি দেখতে ছোট হলেও খামারটিতে আধুনিকতার সব ছোয়াই রয়েছে। বাবা চাচারা পেশা হিসেবে খামার করাই বেচে নিয়েছেন। তিনি বলেন নিজ উদ্যোগে কাজ করলে এই খামার থেকেই আপনি লাভবান হতে পারবেন। তাহার খামারে বর্তমানে শাহীওয়াল, ফ্রিজিয়ান, জার্সি জাতের ১০ টি গাভী আছে। তিনি দৈনিক গাভীগুলো থেকে দুধ দোহন করেন। তিনি বলেন , খামার পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা ও গরুকে যত্ন নিয়ে পালন করলে আপনি কেন লাভবান হবেন না। তিনি দিনে দুবেলা তার খামার পানি দিয়ে পরিষ্কার করেন। অত্যধিক গরমে গরুর সুবিধার জন্য টিনের চালার নিচে কাঠের সাথে পাইপ দ্বারা আধুনিক পদ্ধতিতে পানি ছিটানোর ব্যবস্থা করেছেন যাতে গরুর গরম কম লাগে খামারটি শীতল থাকে।
গরুর খাবার পানির জন্য আলাদা শেডের ব্যবস্থা আছে। কিন্তু গরুর খাদ্য তিনি মেঝেতে দেন কারন গরু এভাবে নিচ থেকে খেতেই পছন্দ করে। খাবার হিসেবে তিনি দানাদার খাদ্য, ভুসি,ঘাস এগুলাই খাওয়ান। সব খাদ্য উপাদান নিজেরাই তৈরি করেন। বাহিরের কেনা কোন খাবার তিনি গরুকে দেন না। নিজস্ব জমিতেই ঘাস চাষ করেন। তিনি খামার করার জন্য কোনো প্রশিক্ষণ নেননি ; তবে ইউটিউব দেখে খামারের কিছু কাঠামো পরিবর্তন করেছেন। তিনি জানান খামারে লোক রাখলে তেমন লাভ করা যায়না তাই খামারের কাজে নিজেকে সময় দিতে হবে। তাহার খামারের লাভের টাকায় তিনি আরও গরু কিনবেন বলে জানান। ফজলুর রহমান এর মতো আপনিও আধুনিক খামার স্থাপন করতে পারেন এতে আর্থিক ভাবে লাভবান হতে পারবেন।
সূত্র: সাফল্য কথা।
প্রচারে : মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ তথ্য দপ্তর,আঞ্চলিক অফিস,কুমিল্লা।