০৩.১০,২০২৪ খ্রি.
কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার শাকতলা গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দা জনাব হুমায়ুন কবির। নিজেকে সফল করতে বিদেশে পাড়ি দেন কিন্তু ভাগ্য সহায় হয়নি তাই দেশে ফিরে নিজেই নিজের কর্মসংস্থান তৈরি কথা ভাবেন। এবং বিদেশে যেহেতু পরিশ্রম করতে হবে সেহেতু পরিশ্রম টুকু দেশেই করব এই প্রতিজ্ঞা করে ২০১৫ সালে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে স্বল্প পরিসরে প্রাণিসম্পদে কাজ শুরু করেন। তার খামারে এখন বর্তমান অবস্থা মিশরীয় ফাওমি মুরগি ৩০ টি ও ১ গাভী দেশী ও ১ টি বকনা বাছুরসহ হাইব্রিড জাতের ০৫ টি ছাগল রয়েছে।
জানাব হুমায়ুন কবিরকে তার খামারের খাবার ও রোগ সম্পর্কে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, আমার নিজ জমিতে হাইব্রিড জাতের কাঁচা ঘাস জার্মানি, ভুট্টা চাষ করি ও খানের খড় এবং বাজার থেকে ভুসি খাদ্য তালিকা রাখি। এসব লালন পালনে এখন পর্যন্ত রানীক্ষেত, গামবোরো, ঠান্ডা জ্বর দেখা দেয় যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের প্রশিক্ষণ থাকায় বাজার থেকে ওষুধ কিনে নিজেই চিকিৎসা করি।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ও বছরে আয়-ব্যয় সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সহায়তা পেলে খামাটি বড় করার ইচ্ছা আছে এবং প্রতি মাসে ৯ থেকে ১০ হাজার টাকা খরচ হযয় যা বছর শেষে ৯০ হাজার থেকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা মধ্যে খরচ হয়ে থাকে। এবং বছর শেষে গবাদি পশু, ছাগল, মুরগি বিক্রি করলে ৫০ থেকে ৬০ হাজার লাভ থাকে। এর সাথে নিজস্ব কৃষি জমিতে ধান ও সবজি চাষাবাদ করি এখান থেকে বছরে ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা লাভ থাকে।
জনাব হুমায়ুন কবির কে তার এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে নিকটতম প্রাণিসম্পদ অফিসে যোগাযোগ রাখতে বলা হয় এবং এই সময় বিনামূল্যে ছাগল ও ভেড়ার টিকা (পিপিআর) নিতে এবং সরকার কর্তৃক যেকোনো সুযোগ সুবিধা নিতে বলা হয়।
সবশেষে, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ তথ্য দপ্তর কর্তৃক প্রকাশিত মুদ্রণ সামগ্রী মধ্যে সাইলেজ (গোখাদ্য সংকটে সমাধান), মহিষ পালন, ছাগল পালন, গ্রামীণ পরিবেশে হাস পালন, বর্ষা মৌসুমে তাজা ও ভিজা খড় সংরক্ষণ/সবুজ ঘাস সংরক্ষণ (সাইলেজ) প্রযুক্তি সম্প্রসারণ। ঝুরি/ব্যাগ সাইলেজ, হাইব্রিড ভুট্টা চাষাবাদ পদ্ধতি/ ভুট্টা। গবাদি পশুর প্রধান খাদ্য উপদান, উন্নত জাতের ঘাস চাষ প্রযুক্তি সম্প্রসারণ/উন্নত জাতের ঘাস চাষ, গরুর ইষ্টপুষ্টকরণ প্রযুক্তি। ইউরিয়া মোলাসেস স্ট্র (ইউ এম এস) তৈরির ফর্মুলা, গবাদি পশুর সুষম খাবার তৈরীর উপকরণ ও খাওয়ার নিয়মাবলী বিষয়ক বিনামূল্যে প্রদান করা হয়। এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ তথ্য দপ্তরের মোবাইল অ্যাপস “মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ তথ্য ভাণ্ডার” সম্পর্কেও অবগত করা হয়।
প্রতিবেদনকারী।
খালেক হাসান (কৃষি তথ্য কেন্দ্র সংগঠক)
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ তথ্য দপ্তর, কুমিল্লা