০২.১০.২০২৪ খ্রি.
কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার দ: ধনাইতরী গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দা মো. শাহ আলম। চার (০৪)সদস্যের পরিবারে এক ছেলে ও এক মেয়ে নিয়ে তাদের সংসার। তিনি বলেন, পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া স্থানীয় বাজারে নিজস্ব দোকানসহ পাশাপাশি ০২ একর ২০ শতাংশ জমিতে পুকুর খনন করে ২০০১ সালে প্রথম মাছ চাষ শুরু করি। মাছ চাষের শুরুতেই সাফল্য পাই; তারপর থেকে এখন পর্যন্ত মাছ চাষের সাথে কাজ করছি। চাষকৃত মাছের পুকুর নিজেই দেখাশোনার পাশাপাশি প্রয়োজনে দৈনিক ৬০০ টাকা হাজিরা শ্রমিক দিয়ে কাজ করি। তিনি আরও বলেন, স্থানীয় বাজারে চাহিদা থাকায় পাঙ্গাস, বুই, মৃগেল জাতের মাছ চাষ করি। আর মাছের পুকুরে খাবার হিসেবে বাহির থেকে দানাদার খাদ্য, শৈল, ভুসি দিয়ে থাকি। মো. শাহ আলম কে মাছ চাষে সমস্যার কথা জানতে চাইলে বলেন, এখন পর্যন্ত আমার পুকুরে শুধু গ্যাসের সমস্যা হয়েছে ২০০০ সালে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর থেকে মাছ চাষে প্রশিক্ষণ থাকায় ছোটখাটো সমস্যা নিজেই সমাধান করতে পারি। নিকটস্থ মৎস অফিসে যোগাযোগ আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি মৎস্য অধিদপ্তরে কোন প্রকার প্রশিক্ষণ সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করেননি জানান।
মো. শাহ আলম কে তার মাছ চাষ নিয়ে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ও বছরে আয়-ব্যয় জানতে চাইলে তিনি আমাদেরকে জানান, ভবিষৎতে মাছ চাষের সাথে কাজ করে যাব মাছ চাষে পুকুর সংখ্যা আরও বৃদ্ধি করব আর পুকুর সংস্কার, পোনা ক্রয়, চুন, সার, খাদ্য প্রয়োগ ও শ্রমিকের মজুরি বাবদ বছরে প্রায় ৮ লক্ষ টাকা ব্যয় হয় এবং বছর শেষে মাছ বিক্রি করলে ৫০ হাজার থেকে ২ লাক্ষ টাকা লাভ হয়।
সবশেষে, মো. শাহ আলম কে নিকটস্থ মৎস্য অফিসের সাথে যোগাযোগ করে মাছ চাষ ও প্রাণিসম্পদ পালনে সরকার কর্তৃক সুযোগ- সুবিধাসমূহ নিতে বলা হয় এসাথে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ তথা দপ্তর, আঞ্চলিক অফিস, কুমিল্লার পক্ষ থেকে তথ্য দপ্তর কর্তৃক প্রকাশিত মুদ্রণ সামগ্রীর মধ্যে “দেশীয় ছোট মাছের চাষাবাদ ও সংরক্ষণ, দেশী কৈ মাছের চাষ ব্যবস্থাপনা, কার্প জাতীয় মাছের মিশ্র চাষ বাবস্থাপনা, মহাশোল মাছের পোনা উৎপাদন ও চাষ ব্যবস্থাপনা, কৈ, শিং ও মাগুর মাছের চাষ ব্যবস্থাপনা, ট্যাংরা প্রজনন ও পোনা উৎপাদন প্রযুক্তি, পাঙ্গাস মাছের মিশ্রচাষ ব্যবস্থাপনা, পাবদা মাছের পোনা উৎপাদন ও চাষ ব্যবস্থাপনা, কালিবাউশ মাছের কৃত্রিম প্রজনন ও পোনা উৎপাদন’ বিনামূল্যে প্রদান করা হয়।
প্রতিবেদনকারী:
খালেক হাসান (কৃষি তথ্য কেন্দ্র সংগঠক)
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ তথ্য দপ্তর, কুমিল্লা