১৪.১০.২০২৪ খ্রি. তারিখ
কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিন উপজেলার ধনেশ্বর গ্রামে থাকেন মো. মারুফ হোসেন। ২০০২ সালে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ থেকে স্নাতক পাশ করেন। শিক্ষাজীবন শেষ করে পৈত্রিক ব্যবসা মুদি দোকান পরিচালনা করেন। কয়েক বছর পর মুদি ব্যবসা বন্ধ করে মাসুদ মেডিকেল হল নামে ঔষধের ব্যবসা শুরু করেন।
গ্রামে থাকার সুবাধে পারিবারিক ভাবেই গরু পালন করতেন মারুফ হোসেনের বাবা। বাবার গরু পালন দেখে অনুপ্রেরণা পান তিনি। সেই থেকে গরুর খামার করার স্বপ্ন দেখেন এবং একজন সফল উদ্যোক্তা হন। ২০১২ সালে নীলা নাফিসা ডেইরী র্ফাম নামে গরুর খামার শুরু করেন। প্রথমে ৫ টা গরু দিয়ে শুরু করেন। সময়ের ব্যবধানে তার খামারে বর্তমানে ২২ টি গরু রয়েছে।
২২ টি গরুর মধ্যে সবগুলোই হলস্টিন ফ্রিজিয়ান জাতের গাভী। গাভী গুলো থেকে প্রতিদিন তিনি ৪০-৪৫ কেজি দুধ পেয়ে থাকেন। গাভীর থেকে প্রাপ্ত দুধ তিনি স্থানীয় বেপারি ও মিষ্টির দোকানে পাইকারি দিয়ে থাকেন। গত কুরবানীর ঈদে তিনি ৪ টা ষাঁড় গরু বিক্রিয় করেন।
খামার পরিচর্যা ও ব্যাবস্থাপনার জন্য ২ জন শ্রমিক কাজ করেন। খাদ্য হিসেবে তিনি গমের ভূষি, খৈল, চাউলে কুড়াঁ, সবুজ ঘাস, ও খড় খাওয়ান। সবুজ ঘাসের জন্য ২০ শতক জমিতে নেপিয়ার ঘাস চাষ করেন। খামারে বর্জ্য অপসারনের জন্য রয়েছে পাইপ লাইন সিস্টেম । তিনি আরো বলেন, খামারের ফ্লোর ৫ দিন পর পর ব্লিচিং পাউডার দিয়ে ধৌত করেন আর প্রতিদিন পানি দিয়ে সকাল ও বিকাল ধৌত করেন।
খামারের রোগব্যাধি সর্ম্পকে জানতে চাইলে মো. মারুফ হোসেন বলেন, খামারে কোন গরু অসুস্থ হলে প্রাথমিক চিকৎসা তিনিই করেন। বেশি অসুস্থ হয়ে পড়লে উপজেলায় প্রাণিসম্পদ অফিসে যোগাযোগ করেন এবং কখনো কখনো স্থানীয় পশু চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে থাকেন।
প্রশিক্ষণের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কোনো প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করেন নি, তবে সুযোগ পেলে তিনি প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করবেন আমাদের জানান।
সবশেষে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ তথ্য দপ্তর থেকে তাকে প্রাণিসম্পদ বিষয়ক বিভিন্ন লিফলেট প্রদান করা হয় এসাথে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ তথ্য দপ্তরের পরিচিতি দেয়া হয় । পাশাপাশি “মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ তথ্য ভান্ডার”“এ্যাপস” “নিউজ পোর্টাল”ও “পেইজ ” সম্পর্কে ও অবহিত করা হয়।
প্রতিবেদনকারী :
সুরাইয়া আক্তার
কৃষি তথ্য কেন্দ্র সংগঠক
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ তথ্য দপ্তর
আঞ্চলিক অফিস, কুমিল্লা