৩০ অক্টোবর ২০২৪ খ্রি.
হুমায়ুন কবির পেশায় একজন কৃষক ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। কৃষি ও ব্যবসার পাশাপাশি তিনি গবাদিপশুর খামার করার উদ্যোগ নেন। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে তিনি ৩টি বকনা ও ২টি ষাঁড় গরু দিয়ে খামার শুরু করেন। বর্তমানে তার খামারে ২০টি গরু আছে। হুমায়ুন কবির বলেন কুরবানীর সময় তার খামার থেকে ৪টি ষাঁড় গরু বিক্রয় করেন, যা থেকে তার লাভ হয় ২ লক্ষ টাকা।
খামার ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে হুমায়ুন কবির বলেন, তিনি উন্নত জাতের ঘাস চাষ করেন এবং ভূট্টা চাষ করে সাইলেজ তৈরি করেন। ঘাস খাওয়ার পাশাপাশি তিনি দানাদার খাদ্য হিসেবে গমের ভূষি, ফিড, খৈল, ভূট্টার গুড়া খাওয়ান।
খামার বাসস্থান সম্পর্কে হুমায়ুন কবির বলেন, খামার প্রতিদিন পরিষ্কার করা হয় এবং ৭দিন পর পর পরিষ্কার পানি ও জীবানুনাশক দিয়ে ভালো ভাবে পরিষ্কার করা হয়।বর্তমানে হুমায়ুন করিব সহ আরো দুইজন কর্মচারী নিয়মিত গবাদিপশুকে খাবার দেয়া, পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতাসহ সকল কাজ করে থাকেন। খামারের বাৎসরিক ব্যয় সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ২জন কর্মচারীর বেতন ২৪,০০০/- টাকা প্রতিমাসে প্রদান করতে হয়। খাবার ও ঔষধ বাবদ ব্যয় হয় ২০,০০০/- টাকা। তিনি বলেন খামারের বাৎসরিক ব্যয় ৫,২৮,০০০/- টাকা এবং দুুধ ও গরু বিক্রয় করে বাৎসরিক প্রায় ৮,৩০,০০০/- টাকা আয় করেন। এথেকে সকল খরচ বাদ দিয়ে তার বাৎসরিক মুনাফা দারায় প্রায় ৩,০০,০০০/- টাকা।
প্রাণিসম্পদ বিষয়ক কোন প্রশিক্ষণ করেছেন কিনা সে বিষয়ে জানতে চাইলে, হুমায়ুন কবির বলেন যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর থেকে ৩মাসের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন। তিনি আরো জানান গবাদিপশুর রোগ দেখা দিলে উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসে যোগাযোগ করেন এবং প্রাণিসম্পদ অফিস বিভিন্ন সহযোগীতা করেন।
পরিশেষে, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ তথ্য দপ্তর, আঞ্চলিক অফিস, ঢাকা থেকে হুমায়ুন কবিরকে ইউএমএস তৈরির সঠিক পদ্ধতিসহ, গরু পালনের সুষ্টু পরামর্শসহ, গাভী পালন, সবুজ ঘাস সংরক্ষণ প্রযুক্তি সম্প্রসারণ, গবাদি পশুর সুষম খাদ্য তৈরির উপকরণ ও খাওয়ানের নিয়মাবলি, উন্নতজাতের ঘাসচাষ বিষয়ক লিফলেট ও ফোল্ডার প্রদান করা হয়।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ তথ্য দপ্তর, আঞ্চলিক অফিস, ঢাকা থেকে ২জন কর্মচারী খামার পরিদর্শন করার জন্য ঢাকা জেলার দক্ষিণখান থানার কাঁচকুড়ায় একটি গবাদিপশুর খামার পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনকালে খামারিকে পরামর্শ প্রদান করেন মো. শাহরিয়ার হোসেন, কৃষি তথ্য কেন্দ্র সংগঠক এবং খামারির ছবি ও ভিডিও ধারণ করেন মো. ফারিহম রহমান রনি, অডিও ভিজ্যুয়াল ইউনিট অপারেটর।