নিষেধাজ্ঞার পর পদ্মা-মেঘনায় মাছ ধরতে নেমেছেন জেলেরা। নদীতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করেও আশানুরূপ ইলিশের দেখা নেই। তবে জেলেদের জালে ধরা পড়ছে বড় বড় পাঙাশ। আর সে পাঙাশ বিক্রি করে খুশি জেলেরা।
মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) বেলা ১১টায় চাঁদপুর বড় স্টেশন মাছঘাটে চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনাসহ দক্ষিণাঞ্চল থেকে আসে বেশ কিছু ছোট-বড় ট্রলার। অধিকাংশ ট্রলারে রয়েছে বড় বড় পাঙাশ। ইলিশ না পেলেও জালে পাঙাশ উঠায় কোনোমতে ক্ষতি পুষিয়ে নিচ্ছেন জেলেরা।
এদিকে দীর্ঘ বিরতির পর দেশের অন্যতম মৎস্য আড়ত চাঁদপুর বড় স্টেশন মাছঘাটে ব্যবসায়ী ও শ্রমিকদের মাঝে ফিরেছে কর্মব্যস্ততা। বর্তমানে ইলিশের পাশাপাশি প্রত্যেকটি আড়তের সামনে বড় বড় পাঙাশ। আর সেই পাঙাশ বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা।
জেলে সচিব হোসেন বলেন, চাঁদপুরে পদ্মা মেঘনায় ইলিশ খুবই কম। তবে ইলিশের গুল্টিজালসহ পাঙাশের আলাদা জাল রয়েছে। সে জালে বড় বড় সাইজের পাঙাশ উঠছে। আমরা ভোর থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত চারটি বড় পাঙাশ পেয়েছি। আর সেই পাঙাশ বিক্রি করতে বড় স্টেশন মাছঘাটে নিয়ে এসেছি। এ মৌসুমটা হচ্ছে যে পাঙাশের মৌসুম, যার কারণে সব জেলের জালে ধরা পড়ছে পাঙাশ।
ক্রেতা নূর মোহাম্মদ বলেন, ইলিশ বিক্রির খবর শুনে চাঁদপুর মাছঘাটে এসেছি ইলিশ কিনতে কিন্তু এখানে এসে দেখি প্রত্যেকটি আরতের সামনে বড় বড় পাঙাশ রাখা রয়েছে। নদীর পাঙাশ অত্যন্ত সুস্বাদু। চেষ্টা করব ইলিশের পাশাপাশি একটি বড় পাঙাশ কেনার।
চাঁদপুর মাছঘাটের আড়তদার নবীর হোসেন জানান, ২২ দিন মাছ ধরা নিষিদ্ধ থাকায় পাঙাশ মাছের সাইজ বড় হয়েছে। এখন থেকে প্রতিদিন মাছ ঘাটে বড় বড় পাঙাশ পাওয়া যাবে। বর্তমানে বড় আকৃতির পাঙাশের কেজি ৭০০-৭৫০ টাকা কেজি। আর একটু ছোট সাইজের পাঙাশের দাম ৬০০ টাকা। আমরা আন-সিজনে এসব পাঙাশ এক হাজার থেকে ১১০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করেছি।